ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার শুটিবাড়ি বাজারে পশু কেনা-বেঁচা হাটে ইজারাদারের ইচ্ছানুযায়ী টোল আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাটে টাঙ্গানো হয়নি পশু কেনা-বেচার টোল প্রদানের সাইনবোর্ড। অতিরিক্ত টোলের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।

নীলফামারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার সব পশুর হাট থেকে প্রতিটি গরু ও মহিষের জন্য সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা, ছাগল কিংবা ভেড়ার জন্য ১৮০ টাকা টোল (খাজনা) আদায় করতে পারবে ইজারাদার। কিন্তু হাটের ইজারাদারেরা এই নিয়ম উপেক্ষা করে প্রত্যেক গরুর ক্রেতার কাছ থেকে ৪০০ ও বিক্রয়কারীর কাছ থেকে ৪০০ টাকা আর খাসির ক্রেতার কাছ থেকে ২০০ ও বিক্রেতার কাছ থেকে ২০০ টাকা করে টোল আদায় করছেন। বাড়তি মূল্যের জন্য টোল আদায়ের রশিদে কিছু বলাও হচ্ছে না। এছাড়াও রসিদে টোল ফি লেখার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি।

ওই হাটে গরু ক্রেতা আহসান হাবীব (৪০) বলেন, হাটে একটি গরু ক্রয় করতে ইজারাদার রশিদ লেখায় (টোল আদায়ের রশিদ) নিয়েছে ৮০০ টাকা। অন্যান্য হাটের চেয়ে এ হাটে টোলের পরিমাণ বেশি।

ডালিয়া থেকে আগত ব্যাবসায়ী মো. মিজানুর রহমান বলেন, হাটে সরকারি টোলের তালিকা টানানোর কথা থাকলেও সেটি নেই। ফলে কেউ বুঝতে পারছেন না টোলের পরিমাণ কত?

হাটের রশিদ লেখক মোঃ রফিকুল ইসলাম (৫৫) বলেন, ইজারাদার যেভাবে নির্দেশনা দেন আমরা সেভাবেই কাজ করি। আদায়কৃত টোলের পরিমাণ রশিদে লিখছেন না কেন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ইজারাদারের সাথে কথা বলেন।

এ বিষয়ে হাটের ইজারাদার মো. আব্দুল গাফফারের সাথে বার্তাবাজারের প্রতিবেদক কথা বললে, তিনি কোনো মন্তব্য না করে প্রতিবেদককে হাট থেকে চলে যেতে বলেন। তিনি আরও বলেন এ বিষয়ে হাট শেষে কথা বলবেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ বেলায়েত হোসেন বার্তাবাজারকে বলেন, টোলের মুল্য সরকারিভাবে নির্ধারণ করা আছে। অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কোন সুযোগ নেই। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ইজারাদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বার্তা বাজার/জে আই