সাতক্ষীরায় যুব নেতৃত্বে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার পক্ষে স্থানীয় প্রশাসন, স্থানীয় সরকার এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৯ জুন) বিকাল ৩ টায় শহরের ম্যানগ্রোভ সভা কক্ষে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো বাস্তবায়নে একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। যুব নেতৃত্বে সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ে এডভোকেসি সভায় সিডোর প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাসেরর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজসেবা অফিসার মিজানুর রহমান।

যুব নেতৃত্বে সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ে এডভোকেসি সভায় সিডোর প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাসেরর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজসেবা অফিসার মিজানুর রহমান।

অন্যান্যদের মধ্যে সাতক্ষীরা সদর থানার নারী ও শিশু নির্যাতন হেল্প ডেস্ক অপর্না বিশ্বাস, ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর অনিমা রাণী মন্ডল, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জোৎনা দত্ত, সাতক্ষীরা সাইবার ক্রাইম এলার্ট টিম পরিচালক শেখ মাহবুবর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি বেল্লাল হোসেন, খুরশিদ জাহান শিলা, আক্তারুল ইসলাম, ও সি সি অফিস ও যুব সদস্যবৃন্দ।

উক্ত এডভোকেসি সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সিডোর প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাস। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যক্রম ও সভার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী তহিদুজ্জামান (তহিদ)।
বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা ইয়ূথ হাবের কো-অর্ডিনেটর, মাসুদ রানা, সেক্রেটারী বেতনা যুব সংঘ সাকিব হাসান, ইয়ূথ লিডার বৈশাখী সুলতানা, সভাপতি উদ্দীপন যুব সংঘ সিহাব সিদ্দিকী, ইয়ূথ হাব সাতক্ষীরা সুজিত পাল।

সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থাপনা: বাংলাদেশ জাতীয় সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদে সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ে বলা হয়েছে (১৯৭২)। তারই ধারাবাহিকতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক ২০১৪ সালে বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত, অতিদরিদ্র মানুষের জন্য জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কৌশলপত্র প্রণয়ন করা হয়। যার প্রধান লক্ষ্য হলো বিদ্যমান সুরক্ষা জালকে আরো শক্তিশালী করা। পাশাপাশি, দারিদ্র দূর করা, মানব উন্নয়ন ও অসমতা নিরসনে বাংলাদেশ সরকার বদ্ধ পরিকর এবং যেটি অভিষ্ট লক্ষ্য মাত্রা ২০২১ এ প্রতিফলিত হয়েছে। বাংলাদেশে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা খুব একটা ভাল অবস্থানে নয়। ২৫টি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কমবেশি ১৩০ টারমত সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচী আছে। যেটি বাংলাদেশের সকল মানুষকে সামাজিক সুরক্ষা খাতের আওয়াতায় নিয়ে আসা সম্ভব নয়। একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা একান্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু বর্তমান বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষা খাত বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে থেকে দারিদ্রতা, মানব উন্নয়ন ও অসমতা নিরসনে যথেষ্ট নয়। সামাজিক সুরক্ষা জালের মধ্যে উপযোগী সকলকে নিয়ে আসার জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। যথা উপযুক্ত বয়স হওয়ার পরেও কিছু মানুষ এই জালের আওয়াতায় আসছেনা কারণ তাদের জন্ম নিবন্ধনে বয়স ভুল আছে। বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষা জাল চাহিদা অনুযায়ি যথেষ্ট নয়। বিতরণে অনিয়ম এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ও তথ্য অব্যবস্থাপনা অন্য একটি কারণ।

এডভোকেসি সভার উদ্দেশ্য: স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারী সেবা প্রদানকারী প্রতিনিধিদের সাথে যুবদের যোগযোগ স্থাপন করা।
কমিউনিটির লোকদের সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করা এবং জেলা/ উপজেলা সামাজিক সুরক্ষা কমিটির সদস্যদের যোগাযোগ নম্বর সংগ্রহ করা। সামাজিক সুরক্ষা কমিটির সদস্যদের যোগযোগ নম্বর সহ লিফলেট তৈরী করে প্রচারণা করা এবং সেবাগুলো গ্রহন করার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করা।

বক্তরা বলেন, একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় সিডো সংস্থার বাস্তবায়নে এফরটি প্রকল্পের আওতায় সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ে যে প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। যুব সদস্যবৃন্দ বর্তমান সময়ের চাহিদা অনুযায়ী উপস্থিত অতিথিবৃন্দের কাছে প্রশ্ন করেন এবং কিভাবে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহন করার আহবান করেন। প্রশ্নের উত্তরে কিভাবে সহযোগিতা করতে পারবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালচনায় ছিলেন প্রোগ্রাম অফিসার গিয়াসউদ্দীন, উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রশেখর হালদার, চন্দন কুমার বৈদ্য, বৈশাখী সুলতানা ও যুব সংঘের সদস্যবৃন্দ।

বার্তাবাজার/রাআ