ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের রাজারাম খালে স্যালো মেশিন লাগিয়ে পানি শুন্য করে মাছ ধরে নিলেন পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের পরিদর্শক আবু সুফিয়ান ওরফে উজ্জ্বল। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলা অফিসে কর্মরত আছেন। কালুহাটি গ্রামের রেজাউল ইসলাম মাস্টার অভিযোগ করেছেন গত সোমবার উজ্জল তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের সঙ্গে নিয়ে খাল সেচে মাছ ধরেন।
এরপর বিপুল পরিমার রানী মাছ এলঅকায় বিক্রি করে দেন। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রেজাউল মাষ্টারের অভিযোগ ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্প্রতি খালটি খনন করে। এরপর জেলা মৎস্য বিভাগ হতদরিদ্রদের মাছ খাওয়ার জন্য কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করে। কিন্তু আবু সুফিয়ান ওরফে উজ্জ্বল গায়ের জোরে এই খালে অন্য গ্রামের কোন মানুষকে মাছ ধরতে দেয় না। বরং নিজেই স্যালো মেশিন লাগিয়ে পানি শুন্য করে সকল মাছ ধরে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের পরিদর্শক আবু সুফিয়ান উজ্জ্বলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনার মাছ লাগলে নিয়ে যান। স্যালো মেশিন লাগিয়ে সরকারি খালের মাছ ধরা যায় কিনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি জানে। এই বিষয়ে গান্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল হাসান মাসুম বলেন, কিছু লোকজন খালে স্যালো মেশিন লাগিয়ে পানি সেঁচে মাছ ধরছে বলে আমিও শুনেছি। এই খাল সবার জন্য উন্মুক্ত। কিন্তু কেউ পানি সেঁচে মাছ ধরতে পারেনা।
এই বিষয়ে পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের উপপরিচালক মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, আগে উপজেলা কর্মকর্তাকে জানান। তিনি কি পদক্ষেপ নেন দেখি তারপরে আমি দেখবো। এই বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিনকে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি স্যারের সাথে রয়েছি। পরে কথা বলছি। পরে তাকে হোয়াটস অ্যাপে বিষয়টি জানানো হলেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য দেশীয় প্রজাতির রানী মাছ রক্ষার্থে জলাশয় থেকে সম্পুর্ণ পানি সেঁচে মাছ ধরা বেআইনী।
বার্তা বাজার/জে আই