ব্রীজ ভেঙে পড়ার কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন তিন গ্রামের বাসিন্দাদের। এতে চরম জনদুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষ। বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের তেতুলিয়া নদীর বেড়ীবাঁধের দরুন খালের উপর নির্মিত আয়রন স্ট্রাকচার ব্রীজ ভেঙে এমন জনদুর্ভোগে পড়ছেন সাচঁড়া, গোবিন্দপুর ও দরুন গ্রামের বাসিন্দারা।

স্থানীয় ভুক্তভোগী আল আমিন নামের এক যুবক বলেন, দীর্ঘদিন ব্রীজটি ঝুকিপূর্ণ ছিলো৷ পাড়াপাড়ের সময় আতঙ্কে থাকতাম আমরা৷ স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও ভয়ে স্কুল কলেজে যেতোনা৷ অবশেষে ভেঙে পড়ায় একদমই যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় সমাজকর্মী মমিন জানান, ২০০৬ সালে এই ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এটি জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকার পর জোয়ারে শ্রোতে ও প্রবল বৃষ্টিতে ব্রীজটি সম্পর্ণ খালের পানিতে ভেঙ্গে পড়ে। এতে সাচড়া, গোবিন্দপুর ও দরুন এই তিনটি গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ দেখা দেয়। এবং স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছেন না। ২ই জুলাই ব্রীজের পাশের কেরামত শিউলীর ছেলে সিরাজ শিউলীর বাসায় বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, একদিন পূর্বেই আয়োজনের সকল সরঞ্জাম চেয়ার টেবিল ও স্টেজ সাঝানো শেষ কিন্তু ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় কনে ও বর পক্ষ দুর্ভোগে পড়েছে।

সাচড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো: মহিবুল্লাহ মৃধা জানান, আমি খবর শুনে ব্রীজটি পরিদর্শন করে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। ব্রীজটি নতুন করে নির্মাণ করার অনুরোধ করেছি।

উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মাইদুল ইসলাম খান জানান, এই আয়রন ব্রিজ গুলো প্রায় ২০ বছর পূর্বের মানুষ ও রিক্স্রা, মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য কম বাজেটে করা হয়। এই ব্রিজ গুলো মেরামত ও নতুন করে করা হয়না। তবে নতুন করে বেশি বাজেটে ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এই ব্রিজটি বিষয়ে স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।