কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগ দাবি করেছেন তারই দল লিবারেল পার্টির একজন ব্যাকবেঞ্চার এমপি ওয়েনে লং। একটি উপনির্বাচনে দলের ভয়াবহ পরাজযের পর তিনি দলের ককাসের কাছে এই দাবি জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।

দলীয় সদস্যদের কাছে এক ইমেইল বার্তায় তিনি লিখেছেন, আমাদের দলের ভবিষ্যতের জন্য এবং আমাদের দেশের ভালোর জন্য নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন। ওয়েনে লং কানাডার নিউ ব্রান্সউইক থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন পার্লামেন্টে। তিনি ওই ইমেইলে লিখেছেন, ভোটাররা জোরালো এবং পরিষ্কার ভাষায় কথা বলেছেন। তারা জানিয়ে দিয়েছেন যে, তারা পরিবর্তন চান।

সোমবার টরোন্টো আসনে উপনির্বাচন হয়। এই আসনটি লিবারেল পার্টি ধরে রেখেছিল ১৯৯৩ সাল থেকে। কিন্তু সোমবারের ওই নির্বাচনে তারা ভয়াবহভাবে সেখানে পরাজিত হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে এমপি ওয়েনে লং। এর আগে তিনি বলেছেন, আর নির্বাচন করতে চান না।

এদিকে ন্যাশনাল পোস্টের বরাত দিয়ে বিবিসি আরও জানায়, ওয়েনে লং- এর ইমেইলের জবাব দিয়েছেন নিউফাউন্ডল্যান্ডের এমপি কেন ম্যাকডোনাল্ড। তিনি ওই ইমেইল বার্তাকে ‘চমৎকার কথা’ বলে অভিহিত করেছেন। অর্থাৎ তিনি এই দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে লিবারেল পার্টির সাবেক কিছু রাজনীতিক প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর পদত্যাগ দাবি করেছেন। এর মধ্যে আছেন ক্যাথেরিন ম্যাককেনা। তিনি ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত জাস্টিন ট্রুডোর অধীনে পরিবেশমন্ত্রী ছিলেন। তিনি মিডিয়াগুলোকে পাঠানো এক বার্তায় বলেছিলেন, লিবারেল পার্টি একজন ব্যক্তিকে নিয়ে নয়। কানাডার মানুষের জীবনমানের উন্নতি ও তার মূল্যবোধের জন্য এই দল। প্রধানমন্ত্রী একটি লিগ্যাসির জন্য গর্বিত হতে পারে। কিন্তু সময় এসেছে নতুন ধারণার, নতুন শক্তির এবং নতুন নেতৃত্বের।

বৃহস্পতিবার টরোন্টো স্টারকে সাক্ষাৎকারে একই রকম কথা বলেছেন বৃটিশ কলাম্বিয়ার লিবারেল দলের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ক্রিস্টি ক্লার্ক। তিনি বলেন, এক সময় প্রধানমন্ত্রীকে যে ভোটার সমর্থন করতেন এখন তা নেই। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো, যেসব মানুষ তার দলকে ভোট দেবেন তাদেরকে উদ্দীপ্ত করেননি।

২০২৫ সালের ২০শে অক্টোবর কানাডায় পরবর্তী নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে দলের ভিতর এমন উত্তাপ নিশ্চয়ই ট্রুডোর জন্য অশনিসংকেত। সোমবার উপনির্বাচনে দলের পরাজয়ের পর লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে পদ ধরে রাখার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। ২০১৫ সাল থেকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

ট্রুডো বলেছেন, সময়টা সহজ নয়। এটা পরিষ্কার যে, আমি এবং আমার পুরো টিম কানাডার বাস্তব সমৃদ্ধির জন্য কঠোর থেকে কঠোর কাজ করে যাচ্ছি। কানাডিয়ানরা শিগগিরই তার প্রতিফলন দেখতে পাবেন। কিন্তু উপনির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন নেননি।