কোন প্রার্থীই ৫০ ভাগের বেশি ভোট না পাওয়ায় ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এগিয়ে থাকা এবং শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে আগামী ৫ জুলাই ফিরতি লড়াই হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আগামী শুক্রবার (৫ জুলাই) রানঅফ নির্বাচনে সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ানের সাথে কট্টরপন্থী সাবেক পারমাণবিক আলোচক সাইদ জালিলির প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। খবর আল জাজিরা ও ইরনা।

এক বিবৃতিতে ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহসেন ইসলামি জানান, “কোনো প্রার্থীই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট অর্জন করতে পারেনি, তাই, প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রতিদ্বন্দ্বী যারা সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন তাদের মধ্যে আগামী ৫ জুলাই নির্ধারিত দ্বিতীয় রাউন্ড নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা জানায়, সারা দেশে ৫৮ হাজার ৬৪০টি ভোট কেন্দ্রের ব্যালট বাক্স এবং বিদেশে ৩৪৪টি ভোট গণনা করা হয়েছে।

অন্যদিকে আল জাজিরা জানায়, সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী মাত্র ২৪.৫ মিলিয়ন ভোট গণনা হয়েছে। এতে পেজেশকিয়ন পেয়েছেন ১০.৪ মিলিয়ন ভোট। তিনিই সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে আছেন জলিলি। তিনি পেয়েছেন ৯.৫ মিলিয়ন ভোট।

অপর দুই প্রার্থী অনেক পিছিয়ে আছেন। তাদের পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসা সম্ভব নয়। মোহাম্মাদ বাকের কলিবফ ৩.৪ মিলিয়ন ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। আর চতুর্থ স্থানে আছেন মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি। তিনি পেয়েছেন ২ মিলিয়ন ভোট।

এছাড়া ইরানের নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র মোহসেন এসলামি, নির্বাচনের সর্বশেষ ফলাফল ঘোষণা সময় জানান, এবারের নির্বাচনে ভোট পড়েছে মাত্র ৪০ শতাংশ যা রেকর্ড পরিমাণ কম ভোটার। এর আগে ২০২১ সালের নির্বাচনেও ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪৮ শতাংশের উপরে।

শুক্রবার দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা ভোটগ্রহণ শেষে গভীর রাতে আনুষ্ঠানিক শুরু হয় গণনার কাজ। ভোট গ্রহণ শেষ হতে সময় বেশি লাগায় ফলাফল ঘোষণা হতেও বিলম্ব হয়।