ইরানে চলছে প্রেসিডন্ট নির্বাচন। শনিবার সকাল পর্যন্ত মূল লড়াই চলছে সংস্কারপন্ধী মাসউদ পেজেশকিয়ানও কট্টরপন্থী সাইদ জালিলির মধ্যে।

গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণের প্রথম প্রহরেই নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় তেহরানের ইমাম খোমেনি হুসেইনিয়ায় ভোট দেন সর্বোচ্চ নেতা।

ভোটগ্রহণের পর ব্যালটগুলো ম্যানুয়ালি গণনা করা হয়। ফলে চূড়ান্ত ফল আসতে দুইদিন সময় লেগে যায়। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে মূলত চার প্রার্থীর মধ্যে। তারা হলেন, মাসুদ পেজেশকিয়ান, মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি, সাইদ জলিলি এবং মোহাম্মদ বাকের কলিবফ। ১ কোটি ৯০ লাখ ভোট এখন পর্যন্ত গণনা করা হয়েছে। এর মধ্যে পেজেশকিয়ান পেয়েছেন ৮৩ লাখ এবং জালিলি ৭১ লাখ ৮০ হাজার। পার্লামেন্ট স্পিকার বাকের কলিবফ পেয়েছেন ২৬ লাখ ৭০ হাজার ভোট। শিয়া নেতা মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি পেয়েছেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ভোট।

সরকার গঠন করতে হলে ইরানে একজন প্রার্থীকে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে হয়। তা না হলে শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে এক সপ্তাহ পর ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।

মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাও দেশটির নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যায়নি। তবে ইরানি সংবাদমাধ্যম পার্স টুডের দাবি ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের খবর সংগ্রহ করছেন ৫২০ বিদেশি সাংবাদিক।

ইরান