মালয়েশিয়ায় মানব পাচার সিন্ডিকেটের স্থানীয় দুই নাগরিকসহ ৩৩ জনকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। আটকদের মধ্যে রয়েছেন ১২ বাংলাদেশি। ১৫ জুন দেশটির অভিবাসন বিভাগের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ১০ জুন, কেলান্তানের কুবাং কেরিয়ান এবং লেম্বা সিরেহ কোটা ভারুতে একটি বিশেষ অভিযানে মোটরসাইকেল বা ‘রাইডার’ গ্যাং ব্যবহার করে অবৈধ পথে অভিবাসী মানব পাচার সিন্ডিকেটের সদস্যদের আটক করা হয়।

বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে, দুইজন স্থানীয় পুরুষ এবং ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৩৩ জন অবৈধ অভিবাসীকে (পাটি) আটক করা হয়। আটককৃত বিদেশী ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, অর্থাৎ ১১ জন থাই, ৭ মিয়ানমার, ১২ বাংলাদেশি, ২ ভারতীয় এবং একজন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।

অভিবাসন মহাপরিচালক, দাতুক রুসলিন জুসোহ বলেছেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিওিতে, কেলান্টান স্টেট ইমিগ্রেশন বর্ডার ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সাথে হেডকোয়াটার্সের ইন্টেলিজেন্স এবং স্পেশাল অপারেশন বিভাগের স্পেশাল ট্যাকটিক্যাল টিমের (পাসটাক) ১৯ সদস্যর অপারেশন টিম সীমান্তে একটি অবৈধ ঘাঁটি দিয়ে পাচারকারিরা অভিবাসীদের দেশে প্রবেশ করার সময় তাদের আটক করা হয়।

এসময় অপারেশন টিম একটি ট্রানজিট হাউসে অভিযান চালিয়ে চার বাংলাদেশীকে আটক করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও একজন থাই মহিলা এবং দুই ভারতীয় পুরুষ যারা একটি ট্রান্সপোর্টার গাড়িতে পালানোর সময় তাদের আটক করা হয়েছে।

অপারেশন টিম একটি মোটরসাইকেল ‘পরিবহনকারী’র গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য পেতে সক্ষম হয়। যারা অবৈধ অভিবাসীকে লেম্বা সিরেহ এক্সপ্রেস বাস টার্মিনালে স্থানান্তর করার চেষ্টা করছিল।

রাসলিন বলেন, অপারেশন টিম টার্গেট লোকেশনে ছুটে যায় এবং দুই স্থানীয় লোককে আটক করতে সক্ষম হয়, যাদের প্রত্যেকে একজন মিয়ানমারের লোক বহন করে।
এ সময় একজন মোটরসাইকেল চালকের পালানোর চেষ্টা সফলভাবে অপারেটরদের দ্বারা প্রতিরোধ করা হয়েছিল এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য উভয় মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন, তারপরে টার্মিনালের চারপাশে অভিযান চালিয়ে ১৭ জন পুরুষ এবং সাতজন মহিলাসহ মোট ২৪ জন বিদেশীকে আটক করা হয় যা তাদেও পাচারকারিরা নির্ধারিত গন্তব্যে নিয়ে যেতে একটি বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। অভিবসীদের ট্রানজিট হাউস থেকে এক্সপ্রেস বাস টার্মিনালে নিয়ে যেতে সিন্ডিকেট মোটরসাইকেল চালকদের নিয়োগের মাধ্যমে তার পদ্ধতি পরিবর্তন করেছে। মানব পাচারকারিরা মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য অভিবাসীদের কাছ থেকে ২ থেকে ৩ হাজার রিঙ্গিত নিত।
রুসলিন বলেছেন,অভিবাসন বিভাগ ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৬৬, ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এবং অ্যান্টি-ট্রাফিকিং ইন পারসনস অ্যান্ড মাইগ্র্যান্ট স্মাগলিং অ্যাক্ট (এটিআইপিএসওএম) ২০০৭, অভিবাসী মানব পাচার চোরাচালান কার্যক্রম রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখবে যা প্রয়োগের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করে।