পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউয়িনের বুড়াগৌরাঙ্গ নদী ঘেঁষা বেড়িবাঁধ এখন ভাঙনের মুখে। ওই ইউনিয়নের বউবাজার থেকে মিটার বাজার পর্যন্ত নির্মিত এ বাঁধটি ভাঙলে নদী গর্ভে বিলীন হবে অসংখ্য ভিটেবাড়ি ও ফসলি জমি।

ভাঙন থেকে বাঁচতে সোমবার দুপুরে বউবাজার এলাকার ভাঙন কবলিত বাঁধের ওপর মানববন্ধন করেছে নদ তীরবর্তী এলাকার মানুষজন। বাঁধ রক্ষার দাবিতে ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা এ কর্মসূচির আয়োজন করেন। এতে শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের আকুতি, যেনতেন করে বাঁধ নির্মাণ না করে টেকসইভাবে পরিকল্পিত ভাবে বাঁধ নির্মাণ করা হোক। জানা গেছে, চরমোন্তাজ ইউনিয়নের বউবাজার, হিন্দুগ্রাম, খেয়াঘাট ও দক্ষিণ চরমোন্তাজ গ্রামটিকে রক্ষা কবজ হিসেবে ঘিরে রেখেছে এ বাঁধটি। কিন্তু বর্ষা মৌসুম শুরু না হতেই সেই বাঁধ ভাঙনের মুখে পড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চার গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল খান বলেন, সাগর মোহনা সংলগ্ন বুড়াগৌরাঙ্গ নদের তীরের এই বাঁধ প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিবার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এই বাঁধ চার এলাকায় লবন পানি থেকে ফসল রক্ষাসহ মানুষের জানমাল রক্ষা করে আসছে। কিন্তু প্রতিবছরই নদীর তীব্র স্রোতে বাঁধ ভেঙে পড়ছে। তাই জনস্বার্থে পরিকল্পিতভাবে বাঁধটি নির্মাণ প্রয়োজন।’

ভাঙন কবলিত হিন্দু গ্রামের বাসিন্দা মিলন হাওলাদার বলেন, বার বার বাঁধ মেরামত হলেও তা টেকসই হচ্ছে না। তাই ব্লক ফেলে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মানের দাবি আমাদের।’ একই গ্রামের সুরেন সিকদার বলেন, ‘বুড়াগৌরাঙ্গ নদের ভাঙনে তিনবার তাদের বাড়িঘর সরাতে হয়েছে। পৈত্রিক সম্পত্তি বলতে এখন তাদের কিছুই নেই। বর্তমানে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বাস করছেন তিনি। এখন ভাঙন তাদের দিকে ছুটে আসছে। বাঁধের অনেকটাই নদীতে ধসে পড়েছে। পুরো বাঁধ ভেঙে গেলে তাদের শেষ আশ্রয়ের ঘরও ভেঙে যাবে। এলাকার লবন পানিতে ফসলি খেত ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থার দাবি করেন তিনি ’
এ ব্যাপারে কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, চরমোন্তাজ ইউনিয়নের বউবাজার এলাকায় ৫৫/৪ পোল্ডারের এই বাঁধটি দৈর্ঘ্য সাড়ে ৩২ কিলোমিটার । এর মধ্যে নদীর স্রোতে প্রায় তিন কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।

বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থান মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।