কায়েদ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর উদ্যোগে মালয়েশিয়াতে আজহারি’র ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত। কুয়ালালামপুরে হোটেল জি টাওয়ারের বলরুমে ৬ষ্ঠ বারের মতো কায়েদ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে কায়েদ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ডক্টর ফয়জুল হক এর সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে আলোচনা পেশ করেন, আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলার, শায়েখ ড. মিজানুর রহমান আজহারি।আজহারি তিনি তার আলোচনায় বলেন, পবিত্র মাহে রমাদানের শেষ দশক চলছে এই ১০ দিনের মধ্যেই আমাদেরকে পবিত্র লাইলাতুল ক্বাদর খুঁজে বের করতে হবে। ইবাদত বন্দেগীর মধ্যে কাটাতে হবে। রাতময় কিয়ামুল লাইল করতে হবে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সঃ ও সাহাবায়ে কেরামগন রমাদানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে শব ই ক্বদর খোঁজ করতেন, ইবাদতে মশগুল থাকতেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের মুসলমানদেরকে হযরত ইব্রাহিম আঃ এর মতো কোরবানী দেওয়ার মন তৈরি করতে হবে। যাকাত হিসেব মতো পরিশোধ করতে হবে। মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জনই হোক আমাদের বাসনা।আন্তর্জাতিক ক্বারী ও হাফেজ জনাব তরিকুল ইসলামের তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

পিএইচডি গবেষক জহুরুল ইসলাম এর পরিচালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ আজমি আবদুল হামিদ,প্রেসিডেন্ট, দা কনসুলেটিভ কাউন্সিল অফ ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ মালয়েশিয়া(মাপিম)।অনুষ্ঠানে আরো ওয়াজ করেন জনাব হযরত মাওলানা মহিউদ্দিন।সভাপতির বক্তব্য রাখেন ইফতার মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জনাব মন্জু খান,বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অলিউল্লাহ জাহিদ,ইফতার বাস্তবায়ন কমিটির সাধারন সম্পাদক জনাব রমজান আলী,সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব জহিরুল ইসলাম টিটু,ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হাওলাদার ও ভলান্টিয়ার প্রধান জনাব রিয়াজ মাহমুদ।অতিথি হিসিবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী রাসেল রানা,হাজী মুহাম্মদ বাদল হোসেন,ব্যবসায়ী হুমাউন কবির,জনাব মুরাদ হোসেন,জনাব মিজানুর রহমান,জনাব আরিজুল ইসলাম,জনাব মির্জা সালাউদ্দিন,জনাব বাদল কারার,জনাব জহিরুল ইসলাম জনি সহ ৫ শতাধিক প্রবাসী।

সভাপতি ড. ফয়জুল হক তার বক্তব্যে বলেন, কায়েদ ফাউন্ডেশন যার নামে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, সেই হযরত কায়েদ সাহেব হুজুর রহ. ছিলেন আজীবন ঐক্য প্রতিষ্ঠার অগ্রনায়ক। তিনি সমাজের সকল আস্তিকদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা দল ও রাজনীতির উর্ধ্বে হানাহানী মুক্ত একটি আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে গেছেন। সমাজের মানুষের কল্যান ও ইসলাম প্রতিষ্ঠায় নিজ বাড়ীতে ৫২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছেন। দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পেয়েছেন স্বর্ন পদক।