চলতি মৌসুমে আর দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারবেন না পর্যটকরা। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মৌসুম শেষের ১৮ দিন বাকি থাকলেও পবিত্র মাসে রমজান উপলক্ষে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে সকল প্রকার পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন জাহাজ কর্তৃপক্ষ। তবে ঈদকে সামনে রেখে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটক পরিবহনের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছেন এই রুটের জাহাজ কর্তৃপক্ষ।
কর্ণফুলি ক্রুজ লাইনের পরিচালক মো. নুরুল আলম বলেন, প্রথমত পবিত্র রমজান ও আগামী এপ্রিল মাসে কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে আবহাওয়া বৈরীতার কথা বিবেচনা করে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঈদুল ফিতরে এমভি বারোআউলিয়া ও কর্ণফুলি এক্সপ্রেস জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। আশা করি, আগামী পর্যটন মৌসুম সেপ্টেম্বর মাস থেকে পর্যটকবাহী সব জাহাজ কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন পুনরায় চলাচল করবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, গতকাল সোমবার (১১ মার্চ) থেকে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকছে। মূলত চলতি মৌসুমে ৩১ মার্চ পর্যন্ত কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল করে। কিন্তু এরই মধ্যে রমজান শুরু হচ্ছে, তাই জাহাজ কর্তৃপক্ষ কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ বন্ধ ঘোষণা করেছে।
তবে, কেয়ারীর এজিএম এসএম আবু নোমান জানান, এমনিতেই দীর্ঘদিন জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় কোম্পানি লোকসানে রয়েছে। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আমরা অনুমোদন নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অনুমতি পেলে ঈদে কেয়ারী সিন্দাবাদ টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটক পরিবহন করবে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জেরধরে সৃষ্ট সীমান্তের অস্থিরতার কারণে ঝুঁকি এড়াতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্দেশে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে এতোদিন ধরে অনুমতি সাপেক্ষে উখিয়ার ইনানী থেকে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস নামের একটি জাহাজ চলাচল করছিলো।