চট্টগ্রামের সাতকানিয়া কেরানীহাটে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জাকিয়া সুলতানা মেরী নামের এক কথিত আঞ্চলিক গায়িকার হাতে নাজেহাল হলেন এক ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা। এসময় ঘটনার ভিডিও ধারন করাকে কেন্দ্রকরে উপস্থিত জনতার উপরে চড়াও হয় এই নারী। পরে জনতার ধাওয়া খেয়ে গাড়িনিয়ে পালিয়ে যান।

শনিবার (২মার্চ) দুপুরে সাতকানিয়া উপজেলার কেরানী হাট মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। শত শত লোক এই নারীর কান্ড দেখতে ভিড় জমায়।

ঘটনার শিকার দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের উপ পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ জানান, দুপুরে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী একটি কার গাড়িকে (ঢাকা মেট্রো চ-১৩১০৬১) দাঁড় করিয়ে চালকের কাছে গাড়ির কাগজপত্র চাওয়া হয়। চালক ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে পারলেও মালিকানা ওরেজিস্ট্রেশনের কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি। হঠাৎ করে গাড়ি থেকে এক যুবক নেমে ট্রাফিক কর্মকর্তার হাত থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স কেড়ে নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষন পর গাড়ি থেকে এক নারী নেমে এসে দায়িত্বরত ট্রাফিক কর্মকর্তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং একদিনের মধ্যে বদলি করার হুমকি দেয়। এমনি র‍্যাব ডেকে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে তুলে নেয়ার হুমকি দেয় ওই নারী। এসময় উপস্থিত জনতা ঘটনার ভিডিও ধারন করলে ওই নারী জনতার উপর ক্ষেপে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দায়িত্বরত ট্রাফিক গাড়ির কাগজপত্র যাচাই করার সময় মেরী ও তার সাথে থাকা এক পুরুষ ট্রাফিকের উপর মারমুখী অবস্থার ভিডিও ধারন করে উপস্থিত লোকজন। এসময় মেরী এক জনের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে জনগনের তোপের মুখে পড়ে ফোন ফেরত দেয়। পরে উত্তেজিত জনতার ধাওয়া খেয়ে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।

তারা আরো জানান, এমনিতে বেশ কয়েক বছর ধরে কক্সবাজারের চকরিয়ার এই নারী বিতর্কিত কথা বার্তায় ভরপুর কিছু আঞ্চলিক গান পরিবেশন করে চলছেন। এসব গানের স্পর্শকাতর কথা বার্তা সমাজের উঠতি বয়সী তরুন ও যুবসমসজের উপর প্রভাব বিস্তার করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা বলে সে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অবশেষে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্যাতন করার মতো দুঃসাহস দেখিয়েছে। এই নারীর খুটির জোর সম্পর্কেও প্রশ্ন তুলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এই ঘটনায় মেরীর পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ওই পরিবহনটির রেজিস্ট্রেশনের কাগজ পত্র না থাকায় ট্রাফিক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের উপ পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ।