জনকল্যাণ স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশনের নাম ব্যবহার করে এক কেজি আটার প্রলোভন দেখিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ছবি তুলে দীর্ঘ দিন প্রতারণা করছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম সবুর পিপিএম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আরাজী রামকলা এলাকার রোস্তম আলীর ছেলে মিজানুর রহমান মান্নু (২৪), ভবেস রায়ের ছেলে সাগর রায় (২৬), জিয়াউর রহমানের ছেলে জাকির ইসলাম (১৯) ও গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই মধ্যপাড়া এলাকার মর্জিদুল সরকারের ছেলে শয়ন মিয়া (২৫)।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার গোলাম সবুর জানান, জনকল্যাণ স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশন নামীয় সংগঠনের নামে মাস ব্যাপী আটা বিতরণ কার্যক্রমের ব্যানারে গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে ভুল বুঝিয়ে এক কেজি আটা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি ও তাদের স্থীর চিত্র ধারণ করে একটি অনলাইন লিঙ্কে প্রেরণ করছে চক্রটি। এসব তথ্য সংগ্রহ করে ওই‌ লিঙ্কের মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য বিক্রয় করে আসামীরা মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, লোকজনের ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য প্রচার, প্রকাশ ও হস্তান্তরের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় লোকজনেরা তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে‌। এসময় তাদের কাছ থেকে তিনটি স্মার্টফোন, একটি মোটরসাইকেল ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়। আমাদের এসব বিষয়ে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। ব্যক্তিগত তথ্য হস্তান্তরের মাধ্যমে ঘটতে পারে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। তাই কারো প্রলোভনে পড়ে কেউ যেনো গোপনীয় তথ্য আমরা কারো কাছে হস্তান্তর না করি সে বিষয়ে সচেতন থাকবো।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোস্তফা মঞ্জুর পিপিএম, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভীরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।