আবার আসলো রকেট লাঞ্চার ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯ টা ১৫ মিনিটের সময় ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে ডাক্তার আবদুল করিমের বাড়ির আঙ্গিনার পূর্বদিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি রকেট লাঞ্চার এসে মাটিতে উপরে পড়ে তবে এতে কোন জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঐ রকেট লাঞ্চারটি।

বান্দরবান জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কয়েকটি গ্রামের লোকজনকে নিরাপদ স্থানে উত্তর ঘুমধুমের বড়বিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ভাবে সেখানে চলে যেতে বলা হয়।

ডিসি এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজের নির্দেশে স্থানিয় লোকজকে সরে যেতে বলা হয়েছে। ঘুমধুম সাত নাম্বার ওয়ার্ডের ১নং উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়কে জনগণের জন্য আশ্রয় শিবির হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যারা অর্থাভাবে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে পারছেন না তাঁদের জন‍্য গাড়ি ভাড়া বাবদ অর্থ জোগান দিচ্ছেন চেয়ারম্যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুই নাম্বার ওয়ার্ডের আনসার সদস্য আমির বশর।

অপরদিকে মিয়ানমার রাখাইন প্রদেশের মংডু জেলার উত্তরে তুমব্রু রাইট বিজিপি ক্যম্প ও তুমব্রু লেপ্ট (ডেকুবনিয়া)২ নং বিজিপির ব্যাটালিয়ন সদর বিদ্রোহী গ্রুপ AA দখলে নেওয়ার জন্য গত ৩ ফেব্রুয়ারী বুধবার গভীর রাত থেকে সশস্ত্র আক্রমণ শুরু করলে মায়ানমার সেনা /বিজিপি পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন। তুমব্রু রাইট বিজিপি ক্যম্প টানা ১৪ ঘন্টা ব্যাপি প্রচন্ড আক্রমণের ফলে গত ৪ ফেব্রুয়ারী বিদ্রোহী গ্রুপ AA দখলে নিয়েছেন। পরর্বতীতে ৫ ফেব্রুয়ারী গভীর রাত ১২টা থেকে তুমব্রু লেপ্ট (ডেকুবনিয়া) ২ নং বিজিপির ব্যাটালিয়ন সদর দখলে নেওয়ার জন্য বিদ্রোহী গ্রুপ AA আক্রমণ শুরু করলে মায়ানমার সেনা ও বিজিপি পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন। দফায় দফায় প্রচন্ডভাবে উভয়ের মাঝে আক্রমণের মধ্যে ৫ ফেব্রুয়ারী সেনাদের একটি মর্টারশেল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন এর ৪ নং ওয়ার্ডের জলপাই তলী গ্রামের বাসিন্দা বাদশা মিয়ার রান্না ঘরে পড়ে মর্টারশেলের আঘাতে বাদশা মিয়ার স্রী হোছনে আরা ও একজন রোহিঙ্গা শ্রমিক সহ দুজন নিহত হয়।

বিদ্রোহী গ্রুপ ও সেনা বিজিপির মাঝে সংঘর্ষে ফলে ঝুকিপূর্ণ হিসাবে গণনা করা হয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন এর ঘুমধুম,জলপাইতলী,তুমব্রু পশ্চিম কুল,ক্যাম্প পাড়া, বাজার পাড়া,কোনার পাড়া, মধ্যম পাড়া,ঘোনার পাড়া,উত্তর পাড়া,ভাজাবনিয়া পাড়া, উলোবনিয়া পাড়া,চাকমা পাড়া, ও বাশঁ বাগান পাড়ার লোকজনকে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের নির্দেশ ক্রমে ঘুমধুম ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ এর নেতৃত্বে সরিয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন এর উত্তর ঘুমধুম বড়বিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্হায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যায়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়।

বিদ্রোহী গ্রুপ ও মিয়ানমার সেনা ও বিজিপির মাঝে সংঘর্ষের সুত্র ধরে মিয়ানমারে বসবাসরত কিছু রোহিঙ্গা নাফনদী পাড়ি দিয়ে ও স্হল পথে বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ এর সুযোগ নেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে জানা যায়।

কয়েকটি গোয়েন্দা সুত্রে জানা যায়,দফায় দফায় সংঘর্ষ এখনো চলমান রয়েছে। এই দিকে মিয়ানমার সেনা বিজিপির ক্যাম্প ও ব্যাটালিয়ান দখল কে কেন্দ্র করে বিদ্রোহী গ্রুপ ও সেনা বিজিপির শত শত গুলি ও মর্টারশেল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের অভ‍্যন্তরে তুমব্রু ও ঘুমধুম এলাকায় আঘাত হেনেছে কয়েকবার। বান্দরবান জেলা প্রশাসন উপরোক্ত সীমান্ত কাছাকাছি গ্রাম ও পাড়া গুলো ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করে, জনগণের জানমাল রক্ষার্থে লোকজন কে সাময়ীক ভাবে সরিয়ে অস্হায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার কার্যক্রমকে স্থানীয় সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা সঠিক সিদ্ধান্ত বলে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রশাসনকে।

বার্তা বাজার/জে আই