ফিলিস্তিন ইস্যুর সমাধান ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা হবে না বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ। রোববার (২১ জানুয়ারি) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনে সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ব্যাপারে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অপরিবর্তনীয় পথ ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির স্বাভাবিক সম্পর্ক হতে পারে কি না জানতে চাইলে প্রিন্স ফয়সাল বলেন, এটাই একমাত্র উপায় যার মাধ্যমে আমরা সুবিধা পেতে পারি। তাই, হ্যাঁ। কারণ আমাদের স্থিতিশীলতা দরকার। কেবল ফিলিস্তিন ইস্যুর সমাধানের মাধ্যমেই এই স্থিতিশীলতা আসবে।

গত সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক ফাঁকে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সাক্ষাৎকারটি নেয় সিএনএন। রোববার তা সম্প্রচার করে সংবাদমাধ্যমটি।

প্রিন্স ফয়সাল বলেন, গাজায় সংঘাত কমানো এবং বেসামরিক মানুষের মৃত্যু বন্ধ করাই সৌদি আরবের মূল লক্ষ্য। ইসরায়েলিরা গাজার বেসামরিক মানুষজনকে পিষে ফেলছে। এটি সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়, সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং এটি বন্ধ করতে হবে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭৮ জন নিহত হয়েছে। এ নিয়ে তিন মাসের বেশি সময়ের গাজা যুদ্ধে ২৫ হাজার ১০৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৬২ হাজারের বেশি মানুষ।

দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন মধ্যস্থতায় দুই দেশের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় বেশ অগ্রগতির খবরও আসে। তবে গাজা যুদ্ধ শুরু হলে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক দৃশ্যপট পাল্টে যায়। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পথ থেকে সরে আসে সৌদি।

ইতোমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মরক্কোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এখন ইসরায়েল যদি সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পারে সেটি হবে তাদের জন্য বড় অর্জন। এমনকি ইসরায়েল ও সৌদির মধ্যে এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিকে বদলে দিতে পারে।

সুন্নি মুসলমান প্রধান সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী দেশ এবং ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র মক্কা ও মদিনার অবস্থান এই দেশে। মুসলিম বিশ্বে এর যথেষ্ট ধর্মীয় প্রভাব রয়েছে।

বার্তা বাজার/জে আই