সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি, দেবহাটা ও কালিগঞ্জ আংশিক) এবং সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর-কালিগঞ্জ আংশিক) আসনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। সকালে প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে ভোটারের উপস্থিতি কম হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটরদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। তবে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে কোথাও ভোটারদের কোন ভিড় পরিলক্ষিত হয়নি। সেকারণে ভোটাররা অনেকটা স্বাচ্ছন্দে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তুলনামূলক ভাবে নারী ভোটারের উপস্থিতির হার ছিল বেশী।

সাতক্ষীরা-৪ আসনে নৌকা ও নোঙ্গর প্রতীকের প্রার্থীদের নির্বাচনী এজেন্ট থাকলেও সব কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী অপর ৫ প্রার্থীর এজেন্ট চোখে পড়েনি। আর সাতক্ষীরা-৩ আসনে নৌকা ছাড়া অন্যান্য প্রার্থীরা সব কেন্দ্রে এজেন্ট দেয়নি। সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের বেশ কয়েকটি কেন্দ্র করে দেখা গেছে এ চিত্র।

সাতক্ষীরা-৩ আসনে বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে কাজলা গরীব উল্লাহ বিশ্বাস দাখিল কেন্দ্রে জালভোট দিতে গিয়ে আটক হন উপজেলার নলতা ইউনিয়নের ইন্দ্রনগর গ্রামের মোকছেদ আলী পাড়ের ছেলে শাহীনুর রহমান (৩৫)। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ আহম্মেদ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জালভোট দেয়ার চেষ্টার অপরাধে শাহীনুর রহমানকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

সাতক্ষীরা-৪ আসনে মৌতলা ইউনিয়নের পানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত সাংবাদিককে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা প্রদান করেন ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ময়নুল হোসেন। এসময় সাংবাদিকের সাথে দুর্ব্যবহারের পাশাপাশি ভোট সংক্রান্ত তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতি জানান তিনি। এ ঘটনায় কালিগঞ্জ প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

সন্ধ্যায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাতক্ষীরা-৩ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী অধ্যাপক ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি এবং সাতক্ষীরা-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী এসএম আতাউল হক দোলন তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক সংসদ সদস্য এইচএম গোলাম রেজার থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। এ দু’টি আসনে নৌকার প্রার্থীদের বিজয় সুনিশ্চিত বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বার্তা বাজার/জে আই