মারধরের পর আগুনে ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আবার জমি দখলের চেষ্টা করছেন প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা। ঘর পোড়ানোর অভিযোগে মামলা হলেও আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় নানাভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগি কৃষক পরিবারটি।

প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করে গতকাল সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন কৃষক ইছামুদ্দিন। এসময় তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামের মৃত আফছার আলীর ছেলে। সেখানেই গত বুধবার রাতে আগুনে তার দুটি ঘর পুড়িয়ে দেয় প্রতিপক্ষরা।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ছয়জনকে আসামি করে অভিযোগ দিলেও ৩১ ডিসেম্বর রাতে মামলাটি গুরুদাসপুর থানায় রুজু করা হয়। এর আগে গত মাসের ১২ তারিখে মারধরের শিকার থানায় আরো একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। কিন্তু এসব ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে গুরুদাসপুর রিপোর্টার্স ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কৃষক ইছামুদ্দিন অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী কালাম শেখ, আব্দুস সালাম শেখ, আনিস শেখ, কফিল খাঁ, সাব্বির খাঁ ও নুর আমিন তার প্রতিপক্ষ। এসব ব্যাক্তির সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। অথচ বার বার প্রভাব খাটিয়ে বিবাদপূর্ণ জমিটি দখল করতে চাচ্ছেন প্রতিপক্ষের লোকজন।

তিনি বলেন, মামলার তপশীলভুক্ত জমিটি অবৈধভাবে দখল করতে না দেওয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন ১২ ডিসেম্বর তাদের মারপিট করেন। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ
দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত বুধবার গভির রাতে তাদের ঘরে আগুন দেওয়া হয়। এতে তার দুটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন আবারো প্রভাবখাটিয়ে বিবাদপূর্ণ জমিটি দখলে নেওয়ার অপচেষ্টা করছে। তিনি শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের সহযোগীতার দাবি জানান। অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের বাড়ি পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোন না ধরায় তাদের বক্তব্যও নেওয়া সম্ভব হয়নি।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. উজ্জল হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি অবগত। মামলায় উল্লেখিত আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।

বার্তাবাজার/এম আই