“জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় কর্মসূচীর সাথে মিল রেখে যথাযোগ্য মর্যাদায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষে মহান বিজয় দিবস ২০২৩ উদযাপিত হয়েছে।

রাত ১২ টা ০১ মিনিটে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত সকল জাহাজে এক মিনিট কাল বিরতিহীনভাবে হুইসেল বাজানো এবং সূর্যোদয়ের সাথে সাথে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পতাকা ও বন্দরের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।

কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মোংলাস্থ স্মৃতিসৌধে চেয়ারম্যান, মবক কর্তৃক বন্দরের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড অফিসে চেয়ারম্যান, মবক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্তৃক যথাক্রমে জাতীয় পতাকা এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পতাকা উত্তোলন, বিভিন্ন মসজিদ/ধর্মীয় উপাসনালয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহিদদের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মেনাজাত/ বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

কর্মসূচির দ্বিতীয়ভাগে মবক স্বাধীনতা চত্বরে মবক’র অবসরপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে সংবর্ধনা প্রদান এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ,চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং বিজয় দিবসের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে মবক চেয়ারম্যান জাতীয় জীবনে মহান বিজয় দিবসের নানান তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন

“পৃথিবীর অনেক দেশই স্বাধীনতা পেয়েছে কিন্তু আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে বিজয় অর্জন করেছি তার মাত্রাটা একটু ভিন্নরূপ।

আফ্রিকা মহাদেশের অনেক দেশ স্বাধীনতা লাভ করলেও তারা পরাধীনতার শিকল থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেনি।

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙ্গালি জাতির মাঝে এক মাথা না নোয়ানোর চরিত্রের জন্ম লাভ করে। যার ফলশ্রুতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বহির্বিশ্বের যেকোন পরাশক্তিকে প্রভুত্বের জায়গাতে স্থান দেননি”।

আগামীতে প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার ঘটিয়ে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে ২০২৭-২০২৮ সালের মধ্যে মোংলা বন্দরকে দেশের প্রথম স্মার্ট বন্দর হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মবক চেয়ারম্যান মহোদয় মোংলা বন্দর হতে অবসরপ্রাপ্ত ৩২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রত্যেককে সন্মানী স্বরুপ ১০,০০০/- (দশ হাজার টাকা) করে আর্থিক অনুদান, ২২০০/- মূল্যমানের খাদ্য সামগ্রী এবং ৩০০/- সমমূল্যের বন্দরের লোগোযুক্ত ১টি করে মগ উপহার প্রদানসহ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জনান।

আলোচনা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে মবক’র সদর দপ্তরের সামনে স্থানীয় বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের গরীব ও দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র(কম্বল) বিতরণ করা হয়।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন মোংলা বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোংলা এবং পোর্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খুলনায় ছাত্র/ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা আবৃত্তি ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। মবকের হাসপাতালে ভর্তিরত রোগীদের জন্য উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।

বার্তা বাজার/জে আই