ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী(৬৭)কে রাস্তায় ফেলে মারধর করেছে মো: সুজন নামে এক পৌর কাউন্সিলর ও তার দলবল।

এই ঘটনায় কাউন্সিলর সুজন সহ তিনজনকে আটক করেছেন পুলিশ।

বুধবার(৬ ডিসেম্বর)বিকেল চারটার দিকে পৌর শহরের সড়ক বাজারে এ ঘটনা ঘটে। হামলার পরপর বিএনপির এক নাশকতার মামলায় কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী পৌর এলাকা রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ঘনিষ্টজন বলে পরিচিত। ঘটনার পরপরই প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে উদ্বার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান।

পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইব্রাহীম মিয়া ওরফে সুজন পৌর এলাকার বনিক পাড়ার বাসিন্দা।

পূর্ব শত্রুতার জেরে আওয়ামী লীগ নেতার উপর সে ও তার ভাই হামলা চালিয়েছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রলীগের এক নেতাসহ কয়েজন বলেন, বুধবার বিকেল চারটার দিকে সড়ক বাজারের দরদী ফার্মেসীর সামনে একটি চেয়ারের আওয়ামীলীগ নেতা বসেছিল। সে সময় একটি ছেলে সেখানে এসে আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে তর্ক করেন। এরই মাঝে কাউন্সিলর ইব্রাহীম মিয়া ওরফে সুজন ও তার ভাই কয়েকজনের দলবল নিয়ে সেখানে এসে আওয়ামী লীগ নেতাকে পাঞ্জাবির কালারে ধরে সড়ক বাজারের সড়কের মাঝখানে নিয়ে যান। সেখানে কাউন্সিলর, তার ভাই ও তাদের লোকজন আওয়ামী লীগ নেতাকে রাস্তায় ফেলে কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে কাউন্সিলর ও তার লোকজনকে ফিরিয়ে দেন। পরে আওয়ামী লীগ নেতাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী উষা বেগম(৬২) অভিযোগ করে বলেন, বুধবার বিকেলে কাউন্সিলরসহ ৪-৫জন লোকজন বাড়িতে ফটকে আঘাত করতে থাকেন। ফটক খুলতেই তারা ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করে এবং তার স্বামীকে খোঁজ করেন। না পেয়ে উষা বেগমের পিঠে ও পায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে তারা।

আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, আমি অসুস্থ। এখন কথা বলতে পারব না। পরে কথা বলব।

আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলায় নির্বাচনী প্রস্তুতি কমিটি গঠন করে আওয়ামী লীগ। কাউন্সিলর নিজেকে আওয়ামী লীগের কর্মী দাবি করলেও তার বিরুদ্ধে বিএনপির নাশকতার মামলা রয়েছে।

আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা বলেন, আমি ঢাকায় আছি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে মারধর করেছে বলে শুনেছি। কেন এমন হয়েছে আমি জানি না।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, পৌর শহরের মসজিদপাড়া থেকে কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপির একটি নাশকতার মামলায় তিনি এজহারভূক্ত আসামী। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বার্তা বাজার/জে আই