সাধারণ ধানের চেয়ে বাজার দর বেশি হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বেড়েছে সুগন্ধি কালোজিরে ধানের আবাদ। মুখোরোচক খাবার তৈরিতে সুগন্ধি ধানের চালের কোনো বিকল্প নেই। দেশে-বিদেশে বেশ কদর সুগন্ধি চালের। এ বছর ভালো ফলনও হয়েছে সুগন্ধি ধানের। বাম্পার ফলন ও বাজারে এ ধানের চাহিদা বেশি থাকায় লাভও বেশি পাচ্ছেন সুগন্ধি ধান চাষিরা। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, চারদিকে এখন ঢেউয়ের মতো দোল খাচ্ছে সুগন্ধি ধানের কালো রংঙ্গের শীষ।

সবুজ ধান গাছ হলুদ বর্ণ ধারণ করছে। সুগন্ধি ধানের মিষ্টি গন্ধে আর কালো রংঙ্গের ধানের শীষে ঝলমল করছে ফসলের মাঠ। মাঠভরা ফসল দেখে কৃষকদের চোখে-মুখে ফুটেছে হাসি।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, উপজলায় চলতি মৌসুমে সুগন্ধি ধানের আবাদ হয়েছে ৫৫০ হেক্টর জমিতে। গত বছরের তুলনায় ৫০ হেক্টর জমিতে বেড়েছে সুগন্ধি ধানের আবাদ। কৃষি বিভাগ বলছে, এ বছর এ ধানের আবাদ বেড়েছে। আশা করা যাচ্ছে এবার এই উপজেলায় ১৫শ মেট্রিকটন ধান কৃষকরা ঘরে তুলতে পাড়বে। এছাড়াও রোগবালাই নেই। ফলে ফলনও ভালো হয়েছে বিগাপ্রতি ৩০ শতাংশ জমিতে ৮/৯ মণ ধান পাওয়া যাবে।এই চাল দিয়ে পোলাও, বিরিয়ানি, জর্দা, পায়েস, ফিরনি প্রভৃতি প্রস্তুত করা যায়। এই চাল সুগন্ধযুক্ত ও সুস্বাদু যে কোন উৎসব-অনুষ্ঠানে, হোটেল-রেস্তোরাঁয়ও সুগন্ধি চালের ব্যবহার বেড়েছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ধান কাটার পর ধানের দামটা ভালো থাকলে লাভবান হবো।

আশুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিব আব্দুল্লাহ জানান, সুগন্ধি ধানের আবাদ বাড়াতে কৃষি বিভাগ সবসময়ই কৃষকদের পাশে থেকে বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর সুগন্ধি ধানের ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকরাও অনেক খুশি।

বার্তাবাজার/এম আই