শীতকালীন সবজির পুষ্টি, স্বাদ ও উপকারিতা মানবদেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে । এসময় সবুজ তরতাজা সকল ধরনের সবজি বাজারে মেলে। আবহাওয়ার অনুকূলে থাকায় প্রচুর সবজি উৎপাদন হয় এই শীতকালে।

শীতের প্রতিটি সবজিতেই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাই সুস্থ ও সুন্দর থাকার জন্য এ সকল শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে।

বগুড়ার সব থেকে বড় কাঁচাবাজার বা সবজি বাজার মহাস্থান হাট। এই হাট থেকে অন্য উপজেলা তথা পুরো জেলার মাুনষ পাইকারি সবজি ক্রয় করে নিজ এলাকায় খুচরা বিক্রি করেন।

বগুড়া শহরের দুটি বড়বাজার একটি রাজাবাজার ও অন্যটি ফতেহ আলী বাজার।

সবজি বাজারের খবর নিতে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাজাবাজার ঘুরে দেখা মেলে বিভিন্ন ধরনের সবজির। দাম জানতে চাইলে লাউ ৩০ টাকা কেজি, কাঁচা পেঁপে ২০/২৫ টাকা কেজি, ধনিয়া পাতা ৪০ টাকা কেজি, টমেটো ৬০ টাকা কেজি, শসা ৪০ টাকা কেজি, সিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি।

রাজা বাজারে বাজার করতে এসছেন এমদাদুল হক। তিনি জানান, শীতের সময় টাটকা সবজি পাওয়া যায়। অন্য সীজনে তেমন টাটকা সবজি পাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। আর পাওয়া গেলেও দাম থাকে আমাদের নাগালের বাহিরে।

রাজা বাজারের খুচরা বিক্রেতা জানান, ফুলকপি গত সপ্তাহের তুলনা একটু বেশি দামে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে । শীতকালীন পাতাপিয়াজ ৬০ টাকা কেজি, নতুন আলুর দাম তুলনামূলক বেশি পাকড়ি আলু ১২০ টাকা কেজি,ও এস্টেরিক ৯০ টাকা কেজি।

ফতেহ আলী বাজারের দোকানী থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুরাতন আলু ৪০ ও ৭০ টাকা কেজি, বেগুন ৫০ টাকা কেজি, পাতাকপি পার পিস ৩০ টাকা, মুলা ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি, গাজর ও কচুর বই ১২০ টাকা কেজি, ঢেঁড়স ৫০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা কেজি, পুরাতন পেঁয়াজ ১৩০ ও নতুন ১২০,শুকনা মরিচ ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা কেজি,আদা ও রসুন পাইকারি দরে ১৬৫ টাকা কেজি এবং খুচরা বাজারে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন।

এসময় শীতকালীন বাজার নিয়ে কথা হয় হাসান নামের এক মধ্য বয়সী লোকের সাথে। তিনি থাকেন শহরের বৃন্দাবন পাড়ায়। শীতের সবজির চাহিদা তার পরিবারে বেশি। দামটা আগের তুলনায় বেশি থাকায় কিনতে হচ্ছে একটু কাটছাঁট করে। তবে তার মতে টাটকা সবজি খাওয়ার উপযুক্ত সময় এই শীতকাল।
এদিকে চলছে পিঠা খওয়ার ধুম। শীতকালের পিঠা বানানোর প্রধান উপকরণ খেজুরের গুড়।
বগুড়াতে খেজুরের গুড় বিক্রি করতে দেখা গেছে ১৮০ টাকা থেকে ২২০ টাকা কেজি। এছাড়াও মাসকালাই বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি , কুমোরবড়ি ৪০০ এবং ৫০০ টাকা কেজি।

মসলার বাজারে ঘুরে দেখা যায়,সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা কেজি সরিষার তেল ১৮০ টাকা কেজি, আতপ চাউল প্রতি কেজি ১১০ টাকা, আটা প্রতি কেজি ৪৫ টাকা, চিনি প্রতি কেজি ১৩৮ টাকা, মুসুরের ডাল দেশি প্রতি কেজি ১৩৫ টাকা, মসুরের ডাল বড় ১৯০ টাকা,মুগ ডাল প্রতি কেজি ১৪০ টাকা, খেসারির ডাল প্রতি কেজি ৯০ টাকা,বুটের ডাল প্রতি কেজি ৯৫ টাকা, মটর ডাল প্রতি কেজি ৬০ টাকা ,ছোলা বুট প্রতি কেজি ৮৫ টাকা, বেসন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, হলুদের গুড়া প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, মরিচের গুঁড়া প্রতি কেজি ৫০০ টাকা,জিরা ১১৫০ টাকা কেজি, সাদা এলাচ ২৪০০, টাকা কেজি, কালো এলাচ ১৮০০ টাকা কেজি, দারচিনি ৫০০ টাকা কেজি বিক্রয় করতে দেখা গেছে।

বার্তা বাজার/জে আই