নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে গাছ কাটার মহোৎসব। সরকারের কোন দপ্তরের অনুমতি ছাড়াই বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির কয়েকজন অসাধু ব্যক্তির নেতৃত্বে চলছে এই ধ্বংসযজ্ঞ। বিদ্যালয়ের চেয়ার-টেবিল বানানোর নামে কোনরকম টেন্ডার ছাড়াই কেটে ফেলা হয়েছে লক্ষাধিক টাকার ৪ টি মোটাতাজা মেহগনি গাছ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন আনুযায়ী স্কুলের গাছ কাটতে হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও বন বিভাগের কাছে লিখিত আবেদন করতে হয়। সংশ্লিষ্ট বিভাগ অনুমোদন দিলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটা যাবে। কিন্তু এই ধরনের প্রক্রিয়া ছাড়াই গাছ কেটে বিক্রি করেছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রেহানা পারভীন ও ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হলেও ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তিরা জানান, আমরা বেশ কয়েকদিন ধরে দেখছি স্কুলের গাছ কাটা হচ্ছে। বড় বড় গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে কি কারনে সেটাই বুঝতে পারছি না। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়, গাছ কেটে ফেললে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। তবে গাছ কাটতে বাধা দিলে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা হয়তো আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ক্ষতি করে দিতে পারে। এ কারণে আমরা কেউ বাধা দিচ্ছি না। তবে গাছ কাটা বন্ধে সরকার যদি ব্যবস্থা নিতো তাহলে সকলের উপকার হবে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রেহানা পারভীন বলেন, আমরা মোট চারটি গাছ কেটেছি। বিদ্যালয়ের চেয়ার-টেবিল বানাতে হবে এ কারণে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে কথাবার্তা বলেই গাছ কাটার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। কারণ বিদ্যালয়ের যদি চেয়ার টেবিল প্রয়োজন হয় তাহলে গাছ কাটা দোষের কিছু নয়।
তবে এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির কোনো সদস্যের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে পাবনা সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ঈসরাইল হোসেন বলেন, গয়েশপুর পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাছ কাটা হচ্ছে এটা সাংবাদিকদের থেকে শুনলাম। অনুমতি ছাড়া গাছ কাটার প্রমান পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বার্তাবাজার/এম আই