মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর সম্প্রতি গুরত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ইসলামপুর পাড়া খেয়াঘাটে নবগঙ্গা নদীর উপর ৪ মিটার আরসিসি গর্ডার ব্রীজ এবং বিশ্ব ব্যাংক সহায়তাপুষ্ট লোকাল গভর্নমেন্ট কোভিড-১৯ রিকভারি প্রজেক্টের আওতায় মাগুরা পৌর কবরস্থানের উন্নয়নসহ ওইসব প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

এ উপলক্ষে জামে মসজিদ রোডে মাগুরা পৌরমেয়র জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ হায়দার টুটুলের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী অনম ওয়াহিদুজ্জামান, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সরোয়ার হোসেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সরকার হারুন আর রশিদ, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান বারী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আশরাফুল আলম বাবুল ফকির, পৌর প্যানেল মেয়র মকবুল হাসান মাকুল।

প্রকল্প উদ্বোধনপূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি উন্নয়নে ধারা অব্যাহত রাখতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকলকে আওয়ামী লীগের পাশে থাকার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, কেউ কেউ উন্নয়নকাজে লুটপাটের কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু সরকার এমন একটি সিস্টেম করে দিয়েছে যে উন্নয়নমূলক কাজে লুটপাটের কোনো সুযোগ নেই। আমেরিকা-ইংল্যাণ্ড-অস্ট্রেলিয়াতে থেকে কম্পিউটারে বসেই অনলাইনে ঠিকাদারি নির্বাচনে অংশ নেয়া যায়। ইতিহাস স্বাক্ষী গত দশ বছরে মাগুরায় কোনো প্রকার টেণ্ডারবাজি হয়েছে এমন কথা বুকে হাত দিয়ে কেউ বলতে পারবেন না। বরং বলতে পারি অধিকাংশ কাজই করেছেন বিএনপির ঠিকাদারেরা। দলীয়করণ করা হয়নি। কারণ আমাদের একটিই লক্ষ মানুষকে ভালো রাখা।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য করে এমপি বলেন, আপনারা কেউ বলতে পারবেন না আওয়ামী লীগ, যুবলীগ কিংবা ছাত্রলীগের কাউকে আপনাদের একটি টাকা চাঁদা দিতে হয়েছে। অথচ অতীতে সকালে এক গ্রুপ অস্ত্র নিয়ে শহরে ঢুকতো। আর সন্ধ্যায় আরেক গ্রুপ শহরে ঢুকে চাঁদা নিয়ে গেছে। না দিলে ভাংচুর চালানো হয়েছে। বিএনপি নেতারা একেকজনকে ধরে নিয়ে গিয়ে মুক্তিপণ আদায় করতো। কিন্তু সেদিন এখন নেই। এখন আর সেসব হয় না।

বার্তা বাজার/জে আই