ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘাটুরায় পূর্ব শত্রুতার জেরে নিহত ট্রাক চালক শফিক খন্দকারের পরিবারে বয়ছে শোকের ছায়া। নিহত শফিক খন্দকার সুহিলপুর ইউনিয়নের গৌতমপাড়ায় ধন মিয়ার ছেলে। শফিকের ২টি ছেলে সন্তান রয়েছে। তারা জানে না তাদের বাবা কোথায়। শুধু বাবা বাবা বলে কাদঁছে।

এই হত্যার ঘটনায় নিহত শফিক খন্দকারের ভাই রতন খন্দকার বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় হত্যার সাথে জড়িত পাশ্ববর্তী আঐর-কাঐর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলীর ছেলে কাছম আলী, মোহাম্মদ ডাক্তার আলীর ছেলে রিয়াদ
হোসেন, কাছম আলীর ছেলে জামান মিয়া ও আজগর আলীর ছেলে তারেক মিয়ার নাম উল্লেখ করে আরো অনেকেই অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ্য করেন, গত ৩ নভেম্বর শুক্রবার বিকালে গৌতমপাড়ার কাশেম আলীর ছেলে জামানের সঙ্গে শফিকুল ইসলামের
চাচাতো ভাই বাক-প্রতিবন্ধী আব্দুল্লাহ্#৩৯;র ফুটবল খেলা নিয়ে কথা- কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় মেম্বার তা সমাধান করে দেন। এরই জের ধরে শনিবার সন্ধ্যার দিকে শফিকুল ইসলাম ট্রাক নিয়ে ঘাটুরা
পেট্রোল পাম্পের সামনে গেলে জামান ও তার ভাই রিয়াদ শফিকুল ইসলামকে জড়িয়ে ধরে।

পরে জামান শফিকুল ইসলামের বুকের ডান পাশে ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা শফিকুল ইসলামকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত শফিক খন্দকারের বাবা-মা বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন আমার নিরপরাধ ছেলেটা নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। আমরা হত্যাকারীদের দ্রুত
গ্রেফতার ও তাদের দৃষ্টান্ত মূলক ফাঁিস দাবী জানাচ্ছি সরকারের কাছে।

নিহত শফিক খন্দকারের স্ত্রী মোছেনা আক্তার বলেন, তারা আমার স্বামীকে হত্যা করে আমার ২টা মাছুম বাচ্চাকে এতিম করে দিয়েছে। আমি
এখন কি করে এই এতিম ছেলেগুলোকে নিয়ে চলব! আমি জড়িতের ফাঁসি চাই।

প্রতিবেশীরা জানান, তারা নিরপরাধ ছেলেটাকে হত্যা করেছে। ঘটনার দিন সে বাড়ি ছিল না। পরেরদিন তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে শফিককে
হত্যা করেন। আমরা এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।

মামলার বাদী রতন খন্দকার বলেন, ফুটবল খেলার সময় প্রতিপক্ষের লোকজনের সাথে আমার প্রতিবন্ধী চাচাতো ভাইয়ের ঝগড়া হয়েছিল। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যের দ্বারা মীমাংসা হয়েছিল। কিন্তু পরের দিন শুক্রবারে ঘাটুরা পাম্পের সামনের প্রতিপক্ষের লোকজন আমার ভাইকে একা পেয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। আমি এই ঘটনায় মামলা দায়ের করলেও পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোন আসামী ধরতে সক্ষম হয়নি। আমি প্রশাসনের কাছে জোরদাবী জানাচ্ছি আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক করা হোক।

মামলার তদন্তকারী এসআই আবদুল কাদের জানান, ট্রাক চালক শফিক হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। হত্যার সাথে জড়িতের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ, র‌্যাব ও ডিপি পুলিশ চেষ্টা করতেছে।

বার্তা বাজার/জে আই