ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনের কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণে অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে তদন্ত কমিটি।

বুধবার সকাল ১১ টায় আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মোঃ রুহুল আমিন তদন্ত কার্য্যক্রম শুরু করেন। এসময় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো জয়নাল আবেদিন তার সাথে ছিলেন। তবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পক্ষে কেউ উপস্থিত ছিলেন না।

বড়তল্লা,তালশহর পশ্চিম ও যাত্রাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রের ৪ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা,২৮ সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং ৪৬ জন পোলিং অফিসার ছাড়াও কেন্দ্রে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা, পুলিশ এবং আনসার সদস্যদের বক্তব্য শুনবে তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটিকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপ-সচিব মোঃ আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত ভোটে অনিয়মের খবরের বিষয়ে তদন্ত করে ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

এরই প্রেক্ষিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো: শাহগীর আলম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

এই বিষয়ে তদন্ত কমিটির কেউ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেননি।

গত ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। এতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট।

বার্তাবাজার/এম আই