বিএনপি-জামাতের ডাকা ৩ দিনের অবরোধের প্রথম দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে কোন প্রভাব পড়েনি। সকাল থেকেই নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে বিভিন্ন পণ্যবাহী জাহাজ থেকে পণ্য উঠানামায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নৌ বন্দরের শ্রমিকরা।

এছাড়াও আশুগঞ্জ ও ভৈরব লঞ্চঘাট থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চ বিভিন্ন রুটে ছেড়ে গিয়েছে। তবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দূর পাল্লার কোন যান চলাচল করতে দেখা যায়নি। লোকাল যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

মঙ্গলবার দুপুরে আশুগঞ্জ নৌবন্দরে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন জাহাজ থেকে পণ্য উঠানামার কাজ করছেন শ্রমিকরা। এদিকে অবরোধকে কেন্দ্র করে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যৌথ বাহিনী মাঠে নেমেছে। বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে তারা। সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাতে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব, আনসার সমন্বয়ে দল টহল শুরু করেছে।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা জানায়, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে পৃথক সমাবেশের ডাক দেয় জাতীয়বাদী দল (বিএনপি) ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সে দিন পুলিশের সাথে বিএনপির ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় এক পুলিশ নিহতসহ অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এরপর দিন ২৯ অক্টোবর দেশব্যাপী সকাল সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় বিএনপি ও জামায়াত। হরতাল শেষে রাতে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সড়ক, রেলপথ ও নৌপথে অবরোধের ঘোষণা দেয় বিএনপি। জামায়াতও পৃথকভাবে একই সময়ে অবরোধের ঘোষণা করে। এরই প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানমালের নিরাপত্তায় কাজ শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার রাত থেকে যৌথ বাহিনী কাজ শুরু করেছে।

আশুগঞ্জ নৌবন্দরে গিয়ে শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকেই আগের মতই কাজ করছেন তারা। বন্দরে কোন প্রভাব পড়েনি অবরোধের। বিভিন্ন পণ্যবাহী জাহাজও কোন বাধা ছাড়াই ভিড়ছেন বন্দরে।

আশুগঞ্জ নৌ বন্দরের শ্রমিক মো.ফরহাদ মিয়া বলেন, অবরোধের কোন প্রভাব পড়েনি আশুগঞ্জ নৌবন্দরে। আমরা সবাল থেকেই বিভিন্ন পণ্য উঠানামা করছি। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোও চলাচল করছে বাধাহীনভাবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, সাধারণ মানুষের জানমালের সার্বিক নিরাপত্তায় বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর। অবরোধকে সামনে রেখে যে কোন নাশকতা এড়াতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। সোমবার রাত থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও সড়কে যৌথ বাহিনী টহল দিচ্ছে।

এই যৌথ বাহিনীতে বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীতে বিজিবির সদস্যরাও কাজ করছে। অবরোধের প্রথম দিনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ আমরা পাইনি। সাধারণ জনগনের জানমাল রক্ষায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নাশকতার চেষ্টা করলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা বলেও জানান তিনি।

বার্তা বাজার/জে আই