সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ও মাদারীপুর-৩ আসনের (কালকিনি,ডাসার ও সদর এর একাংশ) সংসদ সদস্য সৈয়দ আবুল হোসেনের লাশ মাদারীপুরের ডাসারে দাফন হবে বলে শুনে ছুটে আসে তার কবরের বাঁশ কাটতে। হঠাৎ হাতের থেকে বাঁশের একটি অংশ ছিটকে লেগে কপাল কেটে যায় বিপ্লবের। যখন সে শুনতে পেলো তার নেতার লাশ দাফন হবে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে। ঠিক তখনই তার চোখে মুখে ছিল কান্নার ছাপ। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, মাথা কেন শরীরের সব অংশ কেটে গেলেও কোন দুঃখ থাকতো না, যদি আমার প্রিয় নেতার লাশটা ডাসারে দাফন করতে পারতাম। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে এই নেতার আর্দশকে ধারন করে চলতেছি। আজকে সেই নেতাকে দেখতে পেলাম না।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে মাদারীপুর জেলা কৃষকলীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ সোহেল বিপ্লব কান্না করতে করতে দক্ষিণ ডাসার এলাকার সৈয়দ আবুল হোসেন কবর স্হানে বসে এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ডাসার এলাকা ছিল একটা বিল। সেই বিল এলাকাকে শহরে রূপান্তর করেছে আমার নেতা। গড়েছে একটি উপজেলা দিয়েছে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গড়েছেন মানুষ গড়ার কারিগরের ব্যবস্থা। তাকে পেয়ে আমরা মাদারীপুরবাসী ধন্য ছিলাম। তাকে হারানো ব্যথা বুঝতে পারছি না তার কথা মনে পড়লে কান্না চলে আসে। তার শেষ মুখটা দেখতে পারলাম না। পরিশেষে কান্না করতে করতে নিজ ঘরে চলে গেলেন এই নেতা।

শুধু এই নেতা না হাজার হাজার ভক্ত অনুসারীরা কান্না করতে করতে চলে গেল। কিন্তু এ সকল মায়া কান্না বোধায় দেখার মত কেউ নেই। দীর্ঘ দুইদিন যাবত আশায় ছিল প্রিয় নেতা আসবে এই মাদারীপুরের ডাসার শহরে। কিন্তু শেষ দেখার ইচ্ছে আর পূরণ হলো না ডাসারবাসীর।

উল্লেখ্য, গেল বুধবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে ঢাকা ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। গত বৃহস্পতিবার বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদে প্রথম জানাজা শেষে সৈয়দ আবুল হোসেনকে বিকাল ৩টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তার দ্বিতীয় জানাজা শেষ করেন। শুক্রবার বাদ জুমার পরে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে তার শশুর বাড়িতে শেষ জানাজা শেষে এনায়েতপুরে শশুর বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মাদারীপুর -৩ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডক্টর আবদুস সোবহান মিয়াগোলাপ এমপি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম সাবেক এই মন্ত্রীর গ্রামের বাড়ি ডাসারে জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য উপস্থিত।

এছাড়াও ডাসার উপজেলা মাঠে শেষ জানাযায় অংশগ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলার আওয়ামী নেতাকর্মীরা, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার অনুসারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বার্তা বাজার/জে আই