শত্রু বিনাস, সাধুদের রক্ষা ও ধর্ম প্রতিষ্ঠা করা। এই মহান ব্রত নিয়ে সারা দেশের ন্যায় টাঙ্গাইল ঘাটাইল সনাতন ধর্মালম্বীদের বৃহৎ অনুষ্ঠান ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মতিথী বুধবার (৬ সেপ্টম্বর) আরম্ভড়পূর্ণ ভাবে পালিত হয়েছে।

জানা যায়, কৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল প্রায় ৫ হাজার বছর আগের। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, সেই সময় কে বলা হত দ্বাপর যুগ। অসুররা ছিল খুবই অত্যাচারী। তাদের অত্যাচারে সকলেই অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। দিন দিন অসুরদের অত্যাচার এতইন বেশি হয়ে উঠে যে দেবদেবীগণ ক্ষীর সমুদ্র তীরে গিয়ে ভগবানের কৃপা প্রার্থনা করতে থাকেন।

তাঁদের প্রার্থনায় সন্তুষ্ট হয়ে শুধুমাত্র ব্রহ্মাকে অবগতির জন্য দৈববাণীতে বলে, “হে ব্রহ্মা, আমি খুব তাড়াতাড়ি যদুবংশীয় রাজাদের রাজধানী মুথরা রাজা সুরসেনের পুত্র বসুদেবের সন্তান রূপে দেবকীর অষ্টম গর্ভে আবির্ভূত হব। ধরিত্রী দেবসহ তোমরা আমার নির্দেশ অনুসারে দ্বারকা, মথুরা এবং ব্রজের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে জন্মগ্রহণ করবে।” তখন উগ্রসেন নামে মথুরার এক রাজা ছিলেন। প্রচন্ড রকমের ধার্মিক থাকলে কি হবে, তাঁর ছেলে কংস ছিলেন খুবই অত্যাচারী। কংসের অত্যাচারের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে নিজের পিতা উগ্রসেনকেও সিংহাসনচ্যুত করে কারাবন্দি করতে দ্বিধাবোধ করেননি। নিজেই মথুরায় রাজত্ব শুরু করে। আবার এই কংসই আরাধনা করে বর লাভ করেছিলেন, তাঁর বোন দেবকীর অষ্টম গর্ভের সন্তান ছাড়া অন্য কোন ভাবে তাঁর মৃত্যু হবে না। ভাদ্র, মাসের অষ্টমী তিথিতে জন্মাষ্টমী পালন করা হয়। সার্বজনীন হরিমন্দির আয়োজিত, এ উপলক্ষে পৌর এলাকার শান্তিনগর সার্বজনীন হরিমন্দিরে শ্রীমদ্ভগবদ গীতা পাঠ পরে জন্মাষ্টমী একটি শোভাযাত্রার পৌর এলাকার বিভিন্ন শহর প্রদক্ষিণ শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধীর চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক অমুল্য চন্দ্র আর্য্য বাংলাদেশ হিন্দু বৈদ্য খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক দত্ত, পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক জিতেন্দ্র আর্য্যসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সনাতন ধর্মালম্বী নেতৃবৃন্দ শোভা যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন।

বার্তাবাজার/এম আই