সুইডেনে পবিত্র কোরআন অবমাননা ও পোড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পটুয়াখালী জেলা ইমাম পরিষদ। ১৫ জুলাই শনিবার সকাল দশটায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় জেলা ইমাম পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মোঃ ইছা রুহুল্লাহ তার লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে ৬ দফা দাবী তুলে বলেন, সুইডেনে যে বা যারা আল-কোরআন পুড়িয়েছে তাদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। সুইডেনে কোরআন অবমাননা ও পোড়ানো নিষিদ্ধ করে আইন করতে হবে।

বাংলাদেশের সুইডিস দূতাবাস অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং সুইডিস কুটনীতিক ও রাষ্ট্রদূতকে বহিস্কার করতে হবে। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে জরুরী অধিবেশন ডেকে এ ঘটনার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনতে হবে।

বাংলাদেশে যাতে কোন ব্যক্তি বা দল ইসলাম, মুসলমান, পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ ও বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে অবমাননা না করতে পারে তা বন্ধের জন্য সব্বোর্চ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড রেখে ব্লাসফেমী আইন করতে হবে। বার বার কোরআন অবমাননার অনুমোদন দিয়ে সুইডিস আদালত বিশ্বের ২০০ কোটি মুসলমানদের ঈমানে ও মনে যে আঘাত দিয়েছে তাতে কোটি কোটি কোরআন প্রেমিকের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। যদি সুইডিস সরকার এহীন তৎপরতা থেকে বেরিয়ে না আসে তাহলে বিশ্ব নেতাদের বিশেষ করে বিশ্বের মুসলিম নেতাদের প্রতি পটুয়াখালী জেলা ইমাম পরিষদ সুইডেনকে এক ঘরে করে ফেলতে উদাত্ব আহাবন জানাচ্ছে।

এছাড়া সুইডিস সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সুইডেন সরকারের হীন উদ্দেশ্যে প্রনোদিত, উস্কানীমূলক, ইসলাম বিদ্বেষী ও কাপুরোষোচিত, ঘৃন্য, ক্ষমার অযোগ্য কর্মকান্ডের তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা জানাচ্ছে পটুয়াখালী জেলা ইমাম পরিষদ। জেলা ইমাম পরিষদের আহবানে পটুয়াখালী পৌরসভার সকল মসজিদে গত শুক্রবার জুমআর বয়ানে উক্ত ঘৃণ্য কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করা হয়েছে।

এসময় জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা মোঃ আবু সাঈদ সহ ইমাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বার্তা বাজার/জে আই