বান্দরবান লামার পার্শ্ববর্তী বমু বিলছড়ি ইউনিয়নে উচ্চ শিক্ষিত এক (এম এ পাশ) এরফান উদ্দিন (৩২) নামে এক যুবককে রশি দিয়ে বেঁধে প্রকাশ্যে পুরো এলাকায় ঘোরানোর অভিযোগ উঠেছে ইউপির ২নং ওয়ার্ড সদস্য শফিকুল ইসলামের (শফি মেম্বার) বিরুদ্ধে।

গতকাল বুধবার বিকাল ৩টার দিকে ৩নং ওয়ার্ড পূর্বপাড়া স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার এরফান বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড পুর্ব পাড়া এলাকার সিরাজুল হকের ছেলে। সে একজন উদ্যোক্তা এবং পেশায় পোলট্রি ফার্ম ব্যবসায়ী।

জানা যায়, এরফান উদ্দিন নিজ বাড়ি সংলগ্ন খালি জায়গায় পোল্ট্রি ফার্ম করে জীবিকা নির্বাহ করে। স্থানীয় ২নং ওয়ার্ড মেম্বার শফিকুল ইসলাম (শফি মেম্বার) এই জায়গা দীর্ঘদিন ধরে দখলের পাইতারার জেরে ১০/১১ জন লোক দিয়ে এরফান উদ্দিনকে বেধড়ক পিঠিয়ে আহত করে এবং তার দুই হাত রশি দিয়ে বেঁধে পুরো এলাকায় ঘোরিয়ে চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় দুই গ্রাম পুলিশ দিয়ে তাকে থানায় সোপর্দ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শফি মেম্বার বলেন, গত তিন মাস আগে এরফান তার পিতা সিরাজুল হককে মারধর করে। বিষয়টি তার বাবা আমাকে জানালে আমার এক চাচাতো ভাইসহ তাদের বাসায় গিয়ে সুরাহা করি। এর জের ধরে গতকাল বুধবার আমার চাচাতো ভাইকে মরিচের গুড়া মারে ইরফান। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করায়। বিষয়টি চেয়ারম্যান কে অবহিত করলে তিনি গ্রাম পুলিশ দিয়ে এরফানকে চকরিয়া থানায় সোপর্দ করেন।

এমন মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন ঘটনার বিচার চেয়ে এরফানুল হকের মা লাইলা বেগম বলেন, আমার ছেলে চোর নয় ডাকাতো নয় এরপরও মিথ্যা অপবাদে রশি দিয়ে হাত বেঁধে কেন অমানবিক নির্যাতন করা হলো? আমি এর বিচার চাই।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আবদুল জব্বার বলেন, নির্যাতিত যুবককে মায়ের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বার্তাবাজার/রাহা