বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের রাজধানী দিল্লির এক ভিভিআইপি এলাকায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে অবস্থান করছেন। আর এই এলাকাটি ইন্ডিয়া গেট ও খান মার্কেটের কাছাকাছি অবস্থিত বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমস।
দ্য প্রিন্ট-এর এক প্রতিবেদনে শেখ হাসিনা দিল্লির লুটিয়েন্স বাংলো এলাকার একটি সুরক্ষিত বাড়িতে বসবাস করছেন এমন খবর প্রকাশের এক দিন পর আজ শুক্রবার হিন্দুস্তান টাইমসও এমন খবর জানাল। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭৭ বছর বয়সি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মধ্য দিল্লির সুরক্ষিত একটি বাংলোতে অবস্থান করছেন। এই বাংলোতে রয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। তবে তার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার কথা ভেবে বাংলোর নির্দিষ্ট ঠিকানা প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়নি। তিনি গত দুই মাস ধরে এই বাংলোতেই আছেন।
এর আগে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেছিলেন, বাংলাদেশ ছাড়ার আগে কয়েক দিন ভারতে থাকার জন্য মোদি সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সম্প্রতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দাবি করেন, হাসিনার পদত্যাগের কোনো নথি তার কাছে নেই। এ মন্তব্যের পর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। সে সময় সঙ্গে তার বোন শেখ রেহানাও ছিলেন। দিল্লিতে অবস্থিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আঞ্চলিক পরিচালক শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ তিনিও নিরাপত্তার সুরক্ষায় রয়েছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কঠোর প্রোটোকলের মধ্যে দুজনের দেখা হয়েছে।
এর আগে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ছয় বছর দিল্লিতে অবস্থান করেন শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। উল্লেখ্য, শেখ রেহানা ব্রিটিশ নাগরিক। তার মেয়ে টিউলিপ সেখানকার ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এমপি। তাই মনে করা হচ্ছিল শেখ হাসিনা ব্রিটেনে যেতে পারেন। তবে ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে তারা শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিতে পারবে না। তাই ভারতেই রয়ে গেছেন তিনি। তবে শেখ রেহানা এখনো তার সঙ্গে দিল্লিতেই আছেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।
বার্তাবাজার/এস এইচ