শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের স্ত্রী লুৎফা বেগমকে গলায় ধারালো ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পান্না নামে এক নারীর বিরুদ্ধে। হত্যার পর আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে নিজের গলায়ও ছুড়িকাঘাত করে ওই নারী।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরসেনসাস ইউনিয়নের বালা কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লুৎফা বেগম (৬৫) চরসেনসাস ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বালার স্ত্রী। অভিযুক্ত পান্না বেগম (৩০) একই গ্রামের বাচ্চু মোল্লার মেয়ে। পান্না বেগম রফিকুল ইসলাম বালার ঘরেই বসবাস করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই পান্না বেগম নামের ওই নারীকে সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বালা লালন-পালন করেছেন। একটি স্কুলে পান্নাকে চাকুরিও দিয়েছেন তিনি। রফিক বালার ঘরে সবার সঙ্গে বসবাস করত সে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাবেক চেয়ারম্যান রফিক বালা, স্ত্রী লুৎফা বেগম ও পান্না নামের ওই নারী একসঙ্গে বসে বিভিন্ন বিষয়ে কথাও বলেছে। সন্ধ্যায় একা ঘরে হঠাৎ করেই লুৎফা বেগমকে ধারালো ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে পান্না। এরপর আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে নিজের গলায়ও আঘাত করে সে। এঘটনায় লুৎফা বেগম ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। অন্যদিকে আহত অবস্থায় পান্না নামের ওই নারীকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছেন স্থানীয়রা। তবে কেন এমন ঘটনা ঘটিয়েছে পান্না, তা জানাতে পারেনি পুলিশ।

এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেদরগঞ্জ সার্কেল) মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, পান্না নামে এক নারীর ধারালো ছুড়ির আঘাতে সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বালার স্ত্রী লুৎফা বেগমের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। আঘাতের পরে পান্না নামে ওই নারীও আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে নিজেকে আঘাত করেছে। তবে কেন এমন ঘটনা ঘটেছে, তা বিস্তারিত জানতে পারিনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে, পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।

 

 

বার্তাবাজার/এস এইচ