কলকাতা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হলো একাধিক উড়োজাহাজকে। টুইটার তথা এক্স হ্যান্ডেলে দেওয়া হুমকির ভিত্তিতে আতঙ্ক ছড়ায় একাধিক উড়োজাহাজে। হুমকিতে দাবি হয়েছিল বিমানে বোমা রাখা আছে। খবর পেয়ে আর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে অবতরণ করানো হয় ফ্লাইটগুলোকে। একইভাবে কলকাতা বিমানবন্দরে ১১টি উড়োজাহাজকে জরুরিভিত্তিতে অবতরণ করানো হয়েছে।

বিমানবন্দর সূত্রে খবর, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট ও অ্যালায়েন্স এয়ার-এর ফ্লাইটে বোমা রাখা আছে বলে টুইট করা হয়। সেই মতো কলকাতা বিমানবন্দরে বিমানগুলোকে জরুরি অবতরণ করানো হয়। পরে সেই বিমানগুলো ‘আইসোলেশন বে’-তে নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যায় ‘সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স’। বম্ব স্কোয়াড ও ডগ স্কোয়াডও তিনটি বিমানেই তল্লাশি চালায়। বিমানবন্দর সূত্রে পাওয়া খবর, কিছুই পাওয়া যায়নি ওই সব বিমানে।

বিমানবন্দর সূত্রে আরও জানা গেছে, ইন্ডিগোর ৭টি বিমানে, আকাশা-এর ১টি, স্পাইস জেটের ১টি ও অ্যালায়েন্স এয়ারের দুটি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। শুধু বিমানেই নয়, এয়ারপোর্টের টার্মিনাল বিল্ডিং-এও ছড়ায় বোমাতঙ্ক।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, টুইটে লেখা ছিল, এয়ারপোর্টের ভেতরে ও বিমানে বোমা রেখেছি। কেউ বেঁচে ফিরবে না। এটিই তোমাদের শেষ দিন বলে ধরে নাও।

গত কয়েকদিনে একইভাবে বোমাতঙ্ক ছড়াচ্ছে বিমানে। তদন্তে দেখা গেছে, লন্ডন ও জার্মানি থেকে ছড়ানো হচ্ছে এই বোমাতঙ্ক। কোন আইপি অ্যাড্রেস থেকে এই ধরনের ভুয়া বার্তা ছড়ানো হচ্ছে, সেই সম্পর্কে এক্স হ্যান্ডেল-এর কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্যও চেয়েছে নয়া দিল্লি। সম্প্রতি মোদি সরকার আইন সংশোধনীর পথে হাঁটার কথাও ভেবেছে। ফোন কল, সোশ্যাল মিডিয়া বা ইমেইলের মাধ্যমে বোমাতঙ্ক ছড়ালেও বিমানযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি হবে, এমন আইন সংশোধনীর পথেই হাঁটছে মোদি সরকার।

 

বার্তাবাজার/এসএম