মালশিয়ার ক্লাংয়ে দেশটির অভিবাসন বিভাগের অভিযানে সাত ভিয়েতনামী নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে দেহব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে এক বাংলাদেশী নাগরিকের বিরুদ্ধে।
ইমিগ্রেশনের এর বিবৃতি অনুযায়ী জানা যায় রাত ১১.২৩ মিনিটে শুরু হওয়া অভিযানে ৩২ থেকে ৪৫ বছর বয়সী এসকল নারীকে উদ্ধার করা হয়। অভিযোগের তথ্যের ভিত্তিতে, সাত মহিলাকে প্রাঙ্গনে আটকে রাখা হয় এবং গ্রাহকদের পরিষেবা দিতে অস্বীকার করলে তাদের মারধর করা হয়।
ইমিগ্রেশনের মতে, সমস্ত মহিলা পর্যটক হিসাবে দেশটিতে প্রবেশ করেছিল কিন্তু দেশটিতে যৌনকর্মী হিসাবে জোরপূর্বক শোষণ করা হয় তাদের। প্রাঙ্গণটি কঠোরভাবে কথিত বাংলাদেশি “ক্যাপ্টেন” দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় যারা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করতো।
বিবৃতি অনুসারে, পরিদর্শনের সময়, অভিযানকারী দলকে প্রাঙ্গনের প্রধান দরজা ভেঙে ফেলতে হয়েছিল কারণ প্রাঙ্গণের গার্ড বা ‘ক্যাপ্টেন’ সহযোগিতা করতে অস্বীকার করে এবং ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি জানালা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে সে। তবে, তাকে সফলভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাক্ষাত্কারের ভিত্তিতে, সমস্ত মহিলার পাসপোর্ট একজন ব্যক্তির কাছে জিম্মি ছিল যারা এজেন্ট বলে ধারনা করছে কর্তৃপক্ষ। ঐ এজেন্টরাই তাদের চাকরির প্রস্তাব দিয়ে মালয়েশিয়াতে নিয়ে আসে।
তাদেরকে প্রতি গ্রাহকের জন্য শুধুমাত্র ৬০ রিংগিত প্রদান করা হয় এবং খাদ্য ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাইরে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা সহ চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হতো। ন্যাশনাল গাইডলাইন অন হিউম্যান ট্রাফিকিং ইন্ডিকেটর এর উপর ভিত্তি করে দুর্বল গোষ্ঠীর (নারী) মধ্যে মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের (যৌন শোষণ) সনাক্ত করার নিমিত্তে এই অভিযানটি পরিচালিত হয়।
ব্যক্তি পাচার বিরোধী এবং অভিবাসী আইন (এটিআইপিএসওএম) ২০০৭ (ধারা ৬৭০) এর অধীনে অপরাধটির ব্যাপারে বিশদ তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
বার্তাবাজার/এসএম