মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানার চার কনস্টেবলের বিরুদ্ধে দুই জেলেকে আটক করে মাছ ও নগদ অর্থ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গত শনিবার ভোর আনুমানিক ৫ টার দিকে হরিরামপুর উপজেলার পদ্মা নদীর দড়িকান্দি এলাকা থেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করার সময় আলমাছ ও বাবু নামের দুই জন জেলেকে আটক করে হরিরামপুর থানার কনস্টেবল আব্দুল হাই, সোহেল,আরাফাত ও স্পিডবোট চালক করিম। তাদের আটক করার পর আব্দুল হাই দুজনকে হাতকড়া পরিয়ে মারধর ও বকাঝকা করে ভয় দেখিয়ে আনুমানিক ২৫ কেজি ইলিশ মাছ, মাছ শিকার করার জাল ও নগদ ১৮ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন।এ বিষয়টা এলাকায় জানাজানি হলে এক স্পিডবোট চালক করিম কে গত ২১ তারিখে মানিকগঞ্জ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেন।

জেলে আলমাস বলেন, আমার হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে বকাবাজি করে। পরে আমার কাছ থেকে ১৮ হাজার টাকা নিয়ে আমাকে ছেড়ে দেয়। এবং আমার জাল নিয়ে যায়। এছাড়া আমার সাথে থাকা বাবুকে চড় মারেন তারা।

কনস্টেবল করিম বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে আমি কনস্টেবল আব্দুল হাই,সোহেল আর আরাফাতকে নিয়ে আমি নদীতে যাই। এসময় আব্দুল হাই, সোহেল ও আরাফাত মিলে জেলেদের আটক করে। জেলেদের নৌকায় টাকা লেনদেন হয়। আমাকে আব্দুল হাই বলে জেলে ৩ হাজার টাকা দিয়েছে। আমার দায়িত্ব থানার স্পিডবোট চালানো। আমাকে যেতে বলেছে তাই আমি গিয়েছি।

হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মমিন খান বলেন, এ ঘটনায় কনস্টেবল করিমকে ২১ তারিখ ক্লোজড করা হয়েছে। অন্যদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনার সাথে ওসির জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি তো তাদের ডিউটি দেই নাই। কারণ তাদের ডিউটি দিলে সাথে অফিসার থাকতো। মৎস কর্মকর্তার সাথে সমন্বয়ে আমাদের পুলিশ অভিযানে কাজ করে।

 

বার্তাবাজার/এসএম