অটোপাশের দাবীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ঠেকাতে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২২অক্টোবর) সকাল থেকে প্রধান ফটকের সামনে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিপুক সংখ্যক পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।

এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডে ভাংচুর ও অবস্থান নিয়ে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়েছিলেন। এতে বোর্ড চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা তাদের উদ্ধার করেন।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম বার্তা বাজারকে বলেন, গত রবিবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অকৃতকার্য অন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অটোপাশের দাবীতে একটি স্মারকলিপি দিয়েছিলো। আমরা তা শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিব বরাবর পাঠিয়েছি। সেখান থেকে কোন নির্দেশনা না আসায় আমরা কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারিনাই।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা গত দুই দিন আমাদেরকে রাত ১১টা পর্ন্ত অবরুদ্ধ করে রখেছিলো। বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর করেছে। পরে আইনশৃংখলা বাহিনীর সহযোগীতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনাহয়। তাই নিরাপত্তার খাতিরে সকাল থেকে বোর্ডের সামনে বিপুল সংখ্যক আইনশৃংখলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭০.৩২ শতাংশ। এই পরীক্ষায় ফেল করার পেছনে ‘সাবজেক্ট ম্যাপিং’ পদ্ধতিকে দ্বায়ী করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের দাবী- সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার এই ফলাফলে তারা সন্তুষ্ট নন। উত্তরপত্র যথাযথভাবে মূল্যায়ন না করে তাদের অবমূক্যায়ন করা হয়েছে। সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের নামে বৈষম্য করা হয়েছে। তাই তারা প্রকাশিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে নেমেছেন। তাদের সব বিষয়ে পাস মার্ক দিয়ে অটোপাশের দাবী জানান।

 

বার্তাবাজার/এসএম