দলীয় প্রভাব বিস্তার করে ভাংচুর অগ্নিসংযোগ খাল দখল জমি দখল দুর্নীতি সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন বেপরোয়া চাঁদা বাণিজ্য ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করা সহ জংগলিয়া ঘাট সংলগ্ন মোল্লারদূর খালের উপর জাল বসানোর জায়গা লিখিত কাগজের মাধ্যমে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালী হাতিয়া জাহাজমারা বন বিভাগের ওয়াচার আনোয়ার মাঝির বিরুদ্ধে।
আনোয়ার মাঝি হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়নের পূর্ব বিরবিরি গ্রামের ৬ নং ওয়ার্ডের মৃত আমির হোসেনের ছেলে। সে জাহাজমারা বন বিভাগের একজন ওয়াচার (চুক্তিভিত্তিক নার্সারি ও বন প্রহরী) হিসাবে নিযুক্ত রয়েছেন।
জানা যায়, আনোয়ার মাঝি হাতিয়ার সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতো। তার ভয়ে সব সময় জঙ্গলিয়া ও নিমতলী এলাকার মানুষ আতঙ্কে থাকতো। সরকার পতনের পর সবাই আত্মগোপনে চলে গেলেও তার হাতে গড়া সন্ত্রাসীরা এখনও এলাকায় বীরের বেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সে সরকারী সম্পদ নদী খাল হস্তান্তর, বিক্রি, লিজ দেওয়া সহ সকল অপকর্মে লিপ্ত।
প্রতিবেদকের কাছে একটা আংশিক দলীল ও কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ আসে সেখানে দেখা যায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২৪ ইং তারিখে আনোয়ার মাঝি সোহেল উদ্দিনের নিকট ১১ হাজার ৫০০ টাকার বিনিময়ে জঙ্গলিয়ার মোল্লার দূর সিদা খালের একটি বিন্দি জালের হার (জাল বসানোর জায়গা) বিক্রি করে। জাবের উদ্দিন সহ আরো কয়েকজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে আফছার উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি নিয়ে জরুরি টাকার প্রয়োজনে সোহেল নামে ব্যাক্তির কাছে ১১ হাজার ৫০০ টাকায় জঙ্গলিয়ার মোল্লার দূর সিদা খালের একটি বিন্দি জালের হার বিক্রি করতে প্রস্তাব দিলে গ্রহিতা সোহেল উদ্দিন তা নিতে প্রস্তাবে রাজি হয়। এবং সাক্ষীগনের আলোচনায় হার বিক্রি হয়। যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
এই বিষয়ে মুঠোফোনে আনোয়ার মাঝি জানান, আমি আজ থেকে ৯ বছর আগে এলাকার মনির নামের এক লোক থেকে ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে এই মোল্লার দূর সিদা খালের হারটি ক্রয় করি, এখন ঠিক ৯ বছর পরে সোহেল থেকে আমার জরুরি টাকার প্রয়োজনে কয়েক জনকে সাক্ষী করে সোহেল থেকে ১১ হাজর ৫০০ টাকায় বিক্রি করি, এতে তো আমি কোন দোষ করিনি। এবং তিনি বন বিভাগের একজন ওয়াচার হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন বলে দাবি করেন।
এই বিষয়ে সোহেল কে পাওয়া যায়নি, সোহেলের ভাই রয়েল বলেন, আমার ভাই ১১,৫০০ টাকার দিয়ে হারটি ক্রয় করে, তিনি বলেন এটা আগে থেকেই নিয়ম হয়ে আসছে তাই আমরা টাকার বিনিময়ে কিনতে হয়েছে। সবাই এমন করে কিনতেছে আর আমরা গরিব মানুষেরা সেটা নিতে হচ্ছে। আর যারা এসব বিক্রি করে তারা একেকজন প্রভাবশালী লোক, তারা যা বলে আমরা তাই করতে ও শুনতে হচ্ছে। আনোয়ার মাঝি এমপি মোহাম্মদ আলীর একজন পালিত সন্ত্রাস হিসেবে পরিচিত। এলাকায় তাদের ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। তাদের পেশাই হলো চাঁদাবাজি।
এই বিষয়ে হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা এ এম সাইফুর রহমান মুঠোফোনে জানান, আনোয়ার মাঝি তো পলাতক, আজ থেকে ৬ মাস আগে আমাদের বন বিভাগের ওয়াচার হিসেবে নিযুক্ত ছিলো এখন নেই। তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। তাছাড়া খালের জায়গা বিক্রির বিষয়ে আমি অবগত নয়।
বার্তাবাজার/এসএম