বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে রাষ্ট্রীয় সন্মাননা ছাড়াই বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুকের মরদেহ দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থান জামে মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে পাশে কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন হয়।

জানাজা নামাজের আগে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ফারুক ভাই আমাদের একাত্তরের সঙ্গী। তার সঙ্গে স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমরা তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।

এসময় জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আগ‌স্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হামলার ঘটনায় করা মামলায় তা‌কে প্রধান আসামি করা হয়।

এর আগে বিকেল সাড়ে তিনটায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুকে কোনো প্রকার রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ছাড়াই সাধারণ দাফনের দাবিতে জেলা প্রশাসকের সরকারি বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

এসময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেন।

ফারুকের পরিবার জানায়, তিনি দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন । শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। পরে শনিবার সকালে তার কোনো সাড়াশব্দ না পেলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফারুকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার বাড়িতে জেলার বিভিন্ন স্তরের মানুষ সমবেদনা জানতে জড়ো হন।

ফজলুর রহমান খান ফারুক পাকিস্তান গণপরিষদ সদস্য এবং টাঙ্গাইল-৭ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার তাকে ২০২১ সালে একুশে পদক দেয়।

ফজলুর রহমান ফারুক ১২ অক্টোবর ১৯৪৪ সালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ওয়ার্শী ইউনিয়নের কহেলা গ্রামে জন্মগ্রহণ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স পাস করেন।

 

বার্তাবাজার/এসএম