পবিত্র ঈদুল আজহার আগে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ ও দফায় দফায় সেতুর টোল আদায় বন্ধ থাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। একই স্থানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন উত্তরবঙ্গের মানুষ।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) ভোর পর্যন্ত মহাসড়কের সেতু পূর্ব পাড় কালিহাতি উপজেলার হাতিয়া পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় এই যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে বেশি সমস্যায় পড়েছেন নারী, শিশু ও বয়স্ক যাত্রীরা।
এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, সোমবার (২৬ জুন) রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর সড়ক দুর্ঘটনা ও গাড়ি বিকল হয়। এতে রাত ৩টার পর ১২ মিনিট, মঙ্গলবার ভোর ৪টার পর প্রায় এক ঘণ্টা ও সকাল সাড়ে ৫টায় ৪৫ মিনিট পর্যন্ত টোল আদায় বন্ধ রাখে সেতু কর্তৃপক্ষ। এতে যানজট সৃষ্টি হয়।
এদিকে, মহাসড়কের পরিবহনগুলো ভুঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে চলাচল করায় বিভিন্ন অংশে ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই সড়কের কালিহাতী উপজেলা কুচটি হতে এলেঙ্গা রেলক্রসিং, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব গোল চত্বর হতে গোবিন্দাসী পর্যন্ত ধীরগতিতে পরিবহন চলাচল করছে।
ওসি জাহিদ হাসান বলেন, রাতে মহাসড়কে এলেঙ্গা থেকে সেতু পূর্ব পর্যন্ত যানজট ছিল। সকালের দিকে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে এখনো সল্লা থেকে সেতু পূর্ব পর্যন্ত পরিবহন ধীরগতিতে চলাচল করছে। এর আগে রাতে সেতুর উপর পরিবহনের দুর্ঘটনা ও টোল আদায় বন্ধের কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুলিশ সড়কে দায়িত্ব পালন করছে। গাড়ির চলা শুরু হয়েছে, আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক হবে।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ১৬ থেকে ১৭ হাজার যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার হয়। এখন ২৮ থেকে ৩০ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হচ্ছে। এ কারণে সামান্য যানজট আছে।
বার্তাবাজার/এম আই