প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরে মধ্যে মামলার জট সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে। এতে বিচারপ্রার্থীরা অনেকটাই সুফল পাবেন। সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, করোনা মহামারির কারণে আমাদের মামলা নিষ্পত্তির কাজ অনেকটা ধীরগতিতে চলছিল। তবে, গত বছর মামলা নিষ্পত্তির হার অনেক বেড়েছে। আমরা যদি মামলা নিষ্পত্তির হার ১২৫ থেকে ১৩০ ভাগ করতে পারি মামলার জট খুব দ্রুত কমে আসবে। আমাদের কিছু জনবল সংকট আছে। গত বছর আমরা ১০২ জন নতুন কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছি। এ বছরও একশজনের মতো কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এতে আমাদের জনবলের ঘাটতিটাও পূরণ হবে।

তিনি বলেন, আমি যখন প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেই তখন প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, আমাদের বিচারালয় আছে, অবকাঠামো আছে, বিচারকদের বসার জায়গা আছে, আইনজীবীদের বসার জায়গা আছে। শুধু বসার জায়গা নেই বিচার প্রার্থীদের। যাদের জন্য এই বিচার ব্যবস্থা তাদের জন্য আদালত প্রাঙ্গণের কোথাও স্বস্তিতে বাসার জায়গা নেই। তারা স্বস্তিতে বসে পানি পান করতে পারবেন, শৌচাগার ব্যবহার করতে পারেন-এমন ব্যবস্থা নেই। প্রধানমন্ত্রীকে প্রস্তাব দেওয়ার পর তিনি ৩৫ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছেন। ৬৪টি জেলায় যদি আমরা ৫০ লাখ করে টাকা দেই তাহলে প্রত্যেক জেলায় ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করতে পারব। যেখানে পুরুষ-মহিলাদের জন্য আলাদা করে দুটি টয়লেট থাকবে, ৫০ থেকে ৭০টি চেয়ার থাকবে ও একটি ফাস্টফুডের দোকান।

ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রাব্বানী, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) এস কে এম তোফায়েল হাসান, মানিকগঞ্জ দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার, জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ আরও অনেকে।

বার্তা বাজার/জে আই