ঈদের পর জোরদার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খুব শিগগিরই এক দফার চূড়ান্ত ঘোষণা আসছে।
সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ঈদের পর আন্দোলন আরও জোরদার হবে। খুব শিগগিরই এক দফার চূড়ান্ত ঘোষণা। এখনও সময় আছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিরোধীদলের আন্দোলন জনগণের কাছে পৌঁছেছে। জনগণের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকার সংবিধান পরিবর্তনে বাধ্য হবে। আন্তর্জাতিক বিশ্ব নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে সরকারকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দিয়েছে। দেশে বিদেশে সরকার নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।
সরকারের ব্যর্থতার কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি- এ মন্তব্য করে তিনি বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার চিন্তাভাবনা থেকেই সংবিধান পরিবর্তন করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে সংবিধান সংশোধন করেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনী বৈধ নয়। সরকার ও নির্বাচনের বৈধতা থাকেনা। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য দেশে নেতৃত্ব রয়েছে। সকলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা দিবে বিএনপি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করা আওয়ামী লীগই আজ জনবিচ্ছিন্ন। গণতন্ত্র এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে তামাশা করছে সরকার। বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের হুমকি ভয় দেখানো হচ্ছে। নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় সরকারের সঙ্গে অধীনে।
অর্থনীতি নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করে মানুষকে বোকা বানাতে চায় বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে কোনও উদ্যোগ নেই। পশুর দাম চড়া, ক্রেতা কম। ভয়াবহভাবে দেশকে লুটপাট করে খেয়ে ফেলেছে।
এ সময় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়েও কথা বলেন তিনি। ফখরুল বলেন, হাসপাতাল থেকে ফেরার পর খালেদা জিয়া ভালো আছেন। যে সমস্যাগুলো নিয়ে গিয়েছিলেন, সেসবের সমাধান হয়েছে। কিন্তু কিছু সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে না পারায় ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।
বার্তাবাজার/এম আই