ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দেয়ালে ফুটে উঠেছে সবচেয়ে বড় ‘তুফান’ নামে একটি ক্যালিগ্রাফি। গত ৫ আগস্টের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় আঁকা সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল ক্যালিগ্রাফি এটি। ইতোমধ্যে ক্যালিগ্রাফিটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন এই ক্যালিগ্রাফিটি। ক্যালিগ্রাফিটির আঁকা চিত্র শিল্পীরাও পাচ্ছেন বাহবা ।

‘তুফান’ নামক এই ক্যালিগ্রাফিটি এঁকেছেন ওমর ফারুক ও উসাইদ মুহাম্মদ নামে দুই যুবক। তারা দুজনই মাদরাসার শিক্ষার্থী। তাদের আঁকা আরেকটি ক্যালিগ্রাফি বেশ সুনাম অর্জন করেছে। যার নাম ছিল ‘স্বাধীনতার সূর্যোদয়’। সবচেয়ে বড় ক্যালিগ্রাফি তুফান আঁকতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা।

তারা জানান, ক্যালিগ্রাফিটি আঁকা হয়েছে যুদ্ধকালীন সময়ে বিধ্বস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুরাতন পাওয়ার হাউজ ভবনে। ফিলিস্তিনের ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই ভবনে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। তবে কাজের শুরুতেই এই জরাজীর্ণ ভবনে চিত্রগুলো ফুটিয়ে তুলতে হিমশিম খেতে হয়েছে। প্রতিদিন চার-পাঁচ ঘণ্টা কাজ করে দীর্ঘ সাত দিনে কাজটি সম্পূর্ণ হয়।

তারা আরো বলেন, ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানিয়ে তাদের উপর ইসরায়েলি হামলা ও বিভিন্ন দালান-কোঠা ভেঙে বিধ্বস্ত হয়ে পড়া ও ধোয়া ওড়ারসহ আল আকসা মসজিদে চিত্র তুলে ধরা হয় এই ক্যালিগ্রাফিটিতে। সেই ভবনের নিচে একজন সৈন্য হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে ভবনের উপরে উঠছেন তারই চিত্র দেখানো হয়। এটি আঁকতে দীর্ঘ এক মাসের সময় ধরে পরিকল্পনা করা হয়। বন্ধুবান্ধব ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় এমন একটি ক্যালিগ্রাফি উপহার দিতে পেরেছে বলে জানান তাঁরা। স্থানীয়রা বলছেন, এটি একটি প্রশংসীয় কাজ ও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে মহতীও উদ্যোগ। একদিন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা বিজয়ের আলো দেখবে এমনটা প্রত্যাশা সকলের।

 

 

বার্তাবাজার/এস এইচ