উদ্বোধনের পর ২১ দিন পার হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় পটুয়াখালী জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে পারছেন না। এতে করে সাধারণ মুসুল্লিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এমন একটি উন্নয়ন প্রকল্পে বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়া নিয়ে গণপূর্ত বিভাগ ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি একে অপরের উপর দায় চাপাচ্ছে।

জানা যায়, সারা দেশে গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালী জেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হয়। গত ১৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন। কিন্তু উদ্বোধনের ১৮ দিনেও পটুয়াখালীর মসজিদে নামাজ আদায় শুরু করা যায়নি।

পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট তৌফিক মুন্না বলেন, উদ্বোধন হওয়ার পরেও নামাজ পড়তে না পারাটা অনেক কষ্টদায়ক। জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক মানুষ আদালত প্রাঙ্গণে আসেন। তাদের নামাজ পড়ার একমাত্র জায়গা হলো এই মসজিদ। সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে যে তালবাহানা শুরু হয়েছে এটা মোটেও কাম্য নয়।

পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির আরেক সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেন, এমন চমৎকার একটি স্থাপনা উদ্বোধনের পরও সেটি ব্যবহার না করাটা দুঃখজনক। আমরা আশা করি দ্রুত মসজিদটি খুলে দিয়ে নামাজের ব্যবস্থা করা হবে।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে পারছে না। বিদুৎ সংযোগের জন্য অনেক আগেই আবেদন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ পেলেই এখানকার মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে পারবেন।

তবে এ বিষয়ে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি পটুয়াখালী বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, গণপূর্ত বিভাগ আবেদন করতে দেরি করেছে বলেই বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে দেরি হচ্ছে। তারা প্রথমে গত ৯ মার্চ আমাদের কাছে একটি আবেদনপত্র পাঠায়, এরপর ১৫ এপ্রিল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলেও তাতে কারও স্বাক্ষর ছিল না। সর্বশেষ ২ মে তারা স্বাক্ষরসহ কাগজপত্র জমা দিয়েছে। আমরা তৃতীয় প্রকল্প তৈরি করে তাদের কাছে পাঠিয়েছি। প্রকল্প অনুযায়ী টাকা জমা দিলে ১৮ দিনের মধ্যে সংযোগ দেওয়া হয়। তবে এ ক্ষেত্রে আমরা এর আগেই সংযোগ দেব।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, কী কারণে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি সে বিষয়ে আমি খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।