পটুয়াখালীর পুরান বাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে তদন্ত কমিটি। আগুনে ১৫টি দোকান ও ৩০টি বসতঘর পুরোপুরি পুড়ে গেছে। নিঃস্ব হয়ে গেছেন ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার (৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে হারুন মুন্সির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। গ্যাস ও তেলের গোডাউন থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস ও রেড ক্রিসেন্ট পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় টানা তিন ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে পটুয়াখালী সদরসহ অন্যান্য উপজেলার মোট ৯টি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট কাজ করে। তবে এখন পর্যন্ত আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা যায়নি। আগুনে বৈদ্যুতিক তার ও খুঁটির ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

এদিকে জেলা প্রশাসন অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যাদব সরকারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাল ব্রাদার্সের মালিক অনিক পাল বলেন, আমাদের মুদির পাইকারি দোকান ছিল। এখানে প্রায় ৩৫ লাখ টাকার মালামাল ছিল। যা সব কিছু আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে গেছে, আমরা পথে বসে গেছি। ব্যাংক লোন ও মহাজনের পাওনা টাকা আমরা কীভাবে পরিশোধ করব তা বুঝে উঠতে পারছি না।

পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এছাড়াও আজকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা করতে তাদের কাছে গিয়েছিলাম। এখানে কয়েক কোটি টাকার মালামাল আগুনে পুড়ে গেছে। এই সকল ব্যবসায়ীদের সান্ত্বনা দেওয়ার কিছু নেই। পটুয়াখালী পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা করা হবে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যাদব সরকার বলেন, প্রাথমিকভাবে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছি। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরুপণে আরও সময় লাগবে। এখানে ১৫টি দোকান ঘর ও ৩০টি বসতঘর ছিল বলে এখন পর্যন্ত জানা গেছে।