রংপুর নগরীর অভিজাত এলাকা ধাপে দলবল নিয়ে একটি বাড়িসহ স্থাপনা দখল, মালামাল ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় করা মামলায় মেহেরপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান খান ও নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসানুজ্জামানকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ পুলিশ-১ শাখার সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। আদেশমতে ২০২৩ সালের ৯ ফ্রেরুয়ারি থেকে এ সাসপেন্ড আদেশ কার্যকর হবে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আহসান খান বর্তমানে মেহেরপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে নাজনীন নাহার খানম নামের এক নারী রংপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। যা বর্তমানে ক্রিমিনাল রিভিশন কেসে (নম্বর ২৩১/২০২৩) রূপান্তরিত হয়ে দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন আছে। আহসান খান নামে ওই পুলিশ কর্মকর্তা ২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রংপুর আদালতে হাজির হয়ে জামিন পান। তাই তাকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালে তিনি রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন।

একই মামলায় আসামি হওয়ায় নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসানুজ্জামান একই আদালত থেকে জামিন নেন। তাকেও ২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী নাজনীন নাহার খানম বলেন, ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ আরও আসামিরা তার ধাপ এলাকার বাড়ি ও স্থাপনা দখল করতে এসেছিল। বাধা দেওয়ায় মালমাল ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এমনকি আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই ঘটনায় রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করা হয়। আসামিরা গোপনে এসে আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিলেও বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানায়নি। পুরো বিষয় জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করার পর দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

অপরদিকে অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও রিসিভ করেননি।

 

বার্তাবাজার/এসএম