আরো একটি ব্যর্থ বিশ্বকাপের সমাপ্তি হলো বাংলাদেশের মেয়েদের। তবে এবার ব্যর্থতায়ও আছে সফলতা, দীর্ঘ ১০ বছর পর টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ জেতার রেকর্ড। এছাড়া আর প্রাপ্তির কী বা আছে?
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ড এর বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ১১৯ রান করেন, ম্যাচ জিতেন ১৬ রানে। তবে পরের গল্পটা একেবারে শূন্যতা এবং হতাশার। ইংল্যান্ডের মেয়েরা ১১৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশকে, শতাধিক রানও করতে পারেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এদিন ম্যাচ হারেন ২১ রানে।
বিশ্বকাপের ৩য় ম্যাচটা নিয়ে আশায় বুক বেধেছিল বাংলাদেশের সমর্থকরা, শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ছিল প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঢল। সেই ম্যাচটাও রাঙাতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। ৮ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০৪ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয় পেয়ে যায় ক্যারিবীয়রা। এদিকে বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটা নিয়ে বেশি একটা সিরিয়াস দেখা যায়নি বাংলাদেশ দলকে কারণ ম্যাচের আগের দিন কোনো অনুশীলন করেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর সাথে ম্যাচ হারার রাতে বিসিবির মিডিয়া বিভাগ থেকে জানানো হয়, ম্যাচের আগের দিন বিশ্রামে থাকবে ক্রিকেটাররা। ফলে অনুশীলন ছাড়াই ১২ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে মাত্র ১০৭ রানের লক্ষ্য দেয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ১৭.২ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় পায়।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারার পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন অধিনায়ক। তাকে প্রশ্ন করা হয় ‘বিশ্বকাপ বাংলাদেশে হওয়ার কথা ছিল, হয়তো আপনাদের প্রস্তুতি দেশের কন্ডিশন অনুযায়ী ছিল। বিদেশের মাটিতে খেলা হওয়ায় ম্যাচ গুলো খারাপ হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নে অধিনায়ক বলেন, না একদম না। ম্যাচ না জেতার কারণগুলো যদি দেখেন, যেখানে হতো সেইমই হতো। আমরা তো খারাপ করিনি, বোলাররা ভালো করেছে ব্যাটাররা ভালো করতে পারেনি। ইংলেন্ড ১১৯ রান করেছে, লক্ষ্যে পৌছাতে পারিনি, এটা আমাদের ব্যর্থতা। বিশ্বকাপ বাংলাদেশ হওয়ার কথা ছিল, দেশের উইকেট আর শারজার উইকেট এতোটা পার্থক্য ছিল না। বোলার ভালো করেছে আমরা ব্যাটাররা ভালো করতে পারিনি। ভেন্যু কোনো কিছু না। আমরা দল অনুযায়ী ফেইল করেছি। ভেন্যুতে দোষ দিয়ে লাভ নাই, এটা একটা অজুহাত হবে।
বার্তাবাজার/এস এইচ