পিরোজপুরে ২০১২ সালের একটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি রেজাউল করিম খানকে (৩১) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৮। গতকাল রোববার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুস সোবহান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রেজাউল করিম পিরোজপুর সদর উপজেলার কালিকাঠি গ্রামের আমীর আলী খানের ছেলে। র‍্যাব-৮ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জামাল উদ্দিন এবং সহকারী পরিচালক অমিত হাসানের নেতৃত্বাধীন একটি দল রোববার রাত সাড়ে ১১ দিকে রেজাউলকে পিরোজপুর শহরের শেখপাড়ায় তার বাবার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাকে পিরোজপুর সদর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল রাতে মাহফিল থেকে ফেরার পথে রেজাউল এবং সহযোগীরা তারই আপন ফুপাতো ভাই ফিরোজ মাঝিকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। রেজাউলের কাছে ফিরোজের বোনকে বিয়ে দিতে না চাওয়ায় তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ফিরোজকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরের দিন ফিরোজের মা নাসিমা বেগম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৫-৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে পিরোজপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিল্লুর রহমান ফিরোজসহ আরও ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ফিরোজের মা রেকসোনাসহ ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়।

তবে মামলার রায় ঘোষণার আগে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেওয়া রেজাউল মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিল না। পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. আব্দুস সোবহান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত রেজাউল করিম খানকে আজ সোমবার আদালতে পাঠানো হবে।

 

 

বার্তাবাজার/এস এইচ