মাদারীপুরের রাজৈরে নামাজের আগে মসজিদের ফ্যান বন্ধ করতে বলায় মাদ্রাসা শিক্ষক নান্নু শেখের(৫০) বাড়িতে হামলা চালিয়ে ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা।
উপজেলার হরিদাসদী-মহেন্দ্রদী ইউনিয়নের হরিদাসদী মধ্যপাড়া গ্রামের সালাম হাওলাদার(৫৫) ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে দুইজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় রোববার (১৩ অক্টোবর) ফরিদপুর মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী মাদ্রাসা শিক্ষক একই গ্রামের বসিন্দা। তিনি হোসেনপুর ইউনিয়নের বিদ্যানন্দী মাদ্রাসায় চাকরী করেন।
পরিবারিক ও এলাকাবাসী সূত্রে, জানাযায়, উপজেলার হরিদাসদী মধ্যপাড়ার মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিলেন সালাম হাওলাদার(৫৫)। সেই কমিটি ভেঙ্গে আয়নাল হক খানকে সভাপতি করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটিতে পূনরায় সভাপতি পদ না পেয়ে সালাম ক্ষিপ্ত হন। পরে গত (৯ অক্টোবর) বুধবার রাতে এশা নামাজের সময় সালাম ফ্যান চালালে ওই শিক্ষক বন্ধ করতে বলায় দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।
এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের সময় সালাম ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ওই শিক্ষকের বসতবাড়িতে হমলা চালায় এবং শিক্ষক নান্নুসহ ৫ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে স্বর্ণালঙ্কার লুট করে পালিয়ে যায়। এসময় তাদের উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে আহতদের মধ্যে ওই শিক্ষকের ভাই বাবলু শেখ(৫৫) ও জিয়াউর রহমানকে(৪৩) গুরুতর অবস্থায় রোববার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনী।
আহত জিয়াউর রহমানের ভাইয়ের স্ত্রী ডলি বেগম জানান, ঘরের দরজা বন্ধ করে পালিয়েছিল আমার ভাসুররা। তারপরও দরজা ভেঙ্গে ভিতরে এসে কুপিয়েছে। আলমারি খুলে স্বর্ণলঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এখন আবার হুমকি দেয় যে আমরা যদি কোন মামলা করি তাহলে আমাদের আবারও কোপাবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পক্ষের একজন স্থানীয় ইউপি সদস্য গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমরা শালিস- মিমাংসা করে দেওয়ার কথা বলেছি। সেনাবাহিনী আসছিলো। তারাও আমাদেরকে মিমাংসার জন্য দায়িত্ব দিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয় জানতে রাজৈর থানার ওসি মাসুদ খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।
বার্তাবাজার/এসএম