নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ২১.৭ মেট্রিকটন সরকারি চাল জব্দ করা হয়েছে। শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ৩টায় এসব চাল জব্দ করা হয়।
জানা গেছে, মজনুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীর গুদামে বিপুল পরিমাণে সরকারি চালের সন্ধান পায় উপজেলা প্রশাসন। পরবর্তীতে রোববার দুপুরে উপজেলার বাবুরহাটে ওই ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে প্রায় ২১.৭ মেট্রিক টন চাল, ১টি বস্তা সেলাই মেশিন ও ১টি ওজন পরিমাপকসহ শতাধিক খালি চালের বস্তা জব্দ করা হয়। খাদ্য অধিদপ্তরের লোগো সম্বলিত বস্তাগুলো খুলে সেখানে থাকা নামিদামি সব কোম্পানির মোড়কে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরিয়ে বাজারজাতের প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে জব্দকৃত এসব চাল যাদব চন্দ্র নামে এক স্থানীয় ব্যক্তির জিম্মায় রাখা হয়।
চাল মজুদকারোক মো. মজনুর রহমান (৪০) বলেন, আমি পূজা উদযাপন কমিটির মাধ্যমে ৩৭ মেট্রিক টন চাল ক্রয় করি। পর্যায়ক্রমে বিক্রি করার পর ২১.৭ মেট্রিক টন চাল আমার গুদামে মজুদ রয়েছে। চটের বস্তার চালের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ কম। সেজন্য প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে চালের বাজারজাতের কথা স্বীকার করেন তিনি।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ রুহুল মোছাদ্দেক বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। ঘটনার সত্যতা মিললে ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রাসেল মিয়া বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাল মজুদের বিষয়টি জানতে পারি। পরে ফোর্স পাঠিয়ে ২১.৭ মেট্রিক টন চাল জব্দ করা হয়েছে৷ এ ব্যাপারে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বার্তাবাজার/এসএম