বিশ্বব্যাপী জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পে এক বছরে বৈদেশিক সহায়তা বেড়েছে চারগুণ। যেখানে বায়ুমান মান সুরক্ষায় নেয়া প্রকল্পগুলো পেয়েছে মাত্র ১ শতাংশ সহায়তা। এক গবেষণায় এই তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্লিন এয়ার ফান্ড।

গবেষণায় উঠে আসে, ২০২১ সালে জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে বৈদেশিক সহায়তা ছিল ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২২ সালে বেড়ে হয় ৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। আর ২০১৮ থেকে ২০২২ সালে এই খাতে সবচেয়ে বেশি অর্থায়ন করেছে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, জাইকা, এডিবি, ইউরোপিয়ান ব্যাংক ফর রিকন্সট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং আইএফসি। ঘরের বাইরের বায়ুমান রক্ষায় ২০১৮-২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বৈদেশিক সহায়তা পেয়েছে ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার, আর সার্বিকভাবে এই সহায়তার পরিমাণ ৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার।

গবেষণা বলছে, ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আটটি বহুপাক্ষিক ব্যাংক জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পে ২২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার সহায়তা করেছে। এরমধ্যে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ১১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার, জাইকা ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার, ইবিআরডি ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার সহায়তা করেছে। ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাক বিনিয়োগ করেছে তেল ও গ্যাস উত্তোলন এবং পরিশুদ্ধ প্রকল্পে, আর এই বিনিয়োগ হয়েছে বাংলাদেশ, মিশর ও পাকিস্তানে। বাংলাদেশে কয়লা নির্ভর জ্বালানি প্রকল্পে, উজবেকিস্তানে গ্যাস নির্ভর জ্বালানি প্রকল্পে, ইরাকে গ্যাস পরিশোধন খাতে বিনিযোগ করেছে জাইকা। একই সঙ্গে জাইকা মধ্যপ্রাচ্য, সাব-সাহারা আফ্রিকা, পূর্ব এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এসব খাতে কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। মলডোভা ও ইউক্রেনে ২০২২ সালে ইবিআরডি প্রাকৃতিক গ্যাস প্লান্টে বিনিয়োগ করেছে।

এতে আরও বলা হয়, বায়ু দূষণ বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে বিশ্বের ৯৯ শতাংশ মানুষ এখন দূষিত বায়ু গ্রহণ করছে। আর এর কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর ৮০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বায়ু দূষণের কারণে স্বাস্থ্য খাতে যে ক্ষতি হয় তার বছরে আর্থিকমূল্য ৮ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার, যা বৈশ্বিক জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ।

 

 

বার্তাবাজার/এস এইচ